বিচ্ছেদ ঠেকানোর ১০ উপায়

ব্রেক-আপ হয়ে যায় এক ক্লিকেই৷ কিন্ত্ত অনুভূতির কী হবে? ব্রেক-আপের স্ট্রেসও নিতে পারবেন না? রোবট তো হয়ে যাইনি আমরা! কান্নাকাটি, ফিলিং হার্ট ব্রোকেন! রাত্রি জাগরনের ফলে চোখের তলায় কালি আর ফেসবুকে ভারী ভারী পোস্ট৷ অতঃপর রাতের পর রাত বালিশ ভেজানো৷ জীবনে এত নাটকীয়তা না চাইলে সহজেই জেনে নিনসম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখার কিছু সাধরণ নিয়ম৷

১. ছোট ছোট কথায় ব্রেক-আপের হুমকি দেবেন না৷ প্রথম প্রথম আপনার পার্টনারকে ব্যাপারটা ভাবালেও পরে একঘেয়ে লাগবে৷ আপনাকেই উলটে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন তিনি৷

২. নিজের প্রাক্তন বা তার কোনও বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন না৷ বিচ্ছেদের প্রভাব আপনার এক্সের ওপর কেমনভাবে পড়েছে তা তো জানেন না৷ তাছাড়া ‘বন্ধু হয়ে থাকব’ ব্যাপারটা কিন্ত্ত বেশিরভাগ সময় সমস্যা বাড়ায়৷

৩. সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা একদম নয়৷ স্বচ্ছ থাকুন৷ তাতে আপনি কনফিডেন্স পাবেন রিলেশনে৷ আপনার সঙ্গীও নির্ভর করতে পারবেন আপনার উপর৷

৪. মনে সন্দেহ নিয়ে একসঙ্গে ঘর করা যায় না৷ আর সেটা উচিতও নয়৷ তাই অহেতুক সন্দেহ করবেন না নিজের পার্টনারকে৷ বরং কথা বলে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে নিন৷ মন হালকা হয়ে যাবে৷

৫. সম্পর্কে খুব ঝামেলা হচ্ছে৷ বন্ধুদের সব কথা খোলাখুলি বলি… এমনটা ভাবলে কিন্ত্ত খুব ভুল করছেন৷ নিজের লাভ লাইফ আর ফ্রেন্ড সার্কেল মিশিয়ে না ফেলাই ভালো৷ কারণ বন্ধুরা সাহায্য করে সব ঠিক করে দিলো, এমনটা সিনেমার পর্দায় কিংবা রিয়্যালিটি শো-তেই ঘটে৷

৬. অনেকেরই অভ্যাস থাকে ছোট ছোট কারণে ঝগড়া করার৷ সেটা নিছক পাগলামো ছাড়া কিছুই নয়৷ অহেতুক পাগলামো করে রিলেশনশিপকে ট্রাবল করবেন না৷

৭. ইগো দূরে সরিয়ে রাখুন৷ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইগো ভয়ানক ক্ষতি করে৷ কখনওই ইগোর বশে পার্টনারকে কিছু বলবেন না৷ পরে কিন্ত্ত হাত কামড়ানো ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না৷

৮. অ্যাডজাস্ট করতে শিখুন৷ রিলেশনশিপে অ্যডজাস্টমেন্ট খুব জরুরি৷ দুজনের মধ্যে আন্ডারস্টা্যন্ডিং থাকে শুধু একটু মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার মধ্যে৷

৯. ঘণ্টায় ১০ বার ফোন করাটাই কিন্ত্ত ভালবাসা নয়৷ প্রথমদিকে ভালো লাগলেও পরে ব্যাপারটা একঘেয়ে হয়ে যায়৷ নিজস্ব প্রাইভেসি থাকে না৷ তাই আপনার সঙ্গীকে স্পেস দিন৷ দিনে এক-দু’বার খোঁজ নিন, আর দুজনেই ফ্রি টাইম বের করে চ্যাটালাপটা সেরে নিন৷

১০. লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট, বিশ্বাস রাখুন৷ অফিস কলিগের সঙ্গে বন্ধুত্ব কিংবা পার্টনারের এক্সের সঙ্গে দেখা হলে সে মুখ ঘুরিয়ে নেবে এমনটা আশা করবেন না৷ সেটা খুবই ছেলেমানুষি৷ বরং আপনার সঙ্গী তার প্রাক্তনের সঙ্গে কথা বললে হাসিমুখে আপনিও যোগ দিন৷ ভদ্রতাও হল আবার আপনারা যে সুখী সেটা দেখিয়েও দেওয়া হল৷ এক ঢিলে দুই পাখি আর কী।



মন্তব্য চালু নেই