আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
বিচারপতি অভিশংসন আইনে বিএনপি পরামর্শ দিতে পারবে
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, ‘বিচারপতিদের অভিশংসন আইনের বিষয়ে বিএনপি চাইলে পরামর্শ দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির কাছ থেকেও বিচারপতি অভিশংসন আইনের বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হবে। ইচ্ছে করলে তারাও তাদের পরামর্শ দিতে পারবে।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সেমিনার হলে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি বিষয়ক’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, ‘আমি সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে আইনটি আমার কাছে আসবে। যারা সংসদে নেই আমি তাদেরও ডাকবো। তারা তাদের মতামত দিতে পারবে। সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলকেও ডাকবো, তাদের মতামত নেয়া হবে। তবে তাদের মতামত গ্রহণ করা হলো, না বর্জন করা হলো এটা বড় কথা নয়। এই মতামত রেকর্ড করা হবে এবং সংসদীয় কমিটির কাছে থাকবে। ১শ বছর পরেও কেউ দেখতে চাইলে, দেখতে পারবে।’
অভিশংসন আইনের বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ও সংসদের স্পিকার যদি সংসদের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে তাহলে বিচারপতিরা কেন পারবে না।’
আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘আজকে বিকালে সংসদ অধিবেশন বসবে। এ অধিবেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবারের অধিবেশনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর একটা বিষয় সামনে এসেছে। আমরা আশা করছি যে, এই বিলটি সংসদ সদস্যরা সংসদের আনবেন। কিন্তু তার আগে এই বিলটি সংসদীয় কমিটিতে আনতে হবে। আর ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সংসদে বিল আনা হবে।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সংবিধানের সংশোধনী (বিচারপতিদের অভিশংসন) নিয়ে এখন যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, এটা চায়ের কাপে ঝড় তোলার মতো। এ আইনটি নতুন নয়, এটা ৭২ এর সংবিধানেও ছিল। জিয়া সামরিক আইন দিয়ে এই আইনটি পাকিস্তানের আদলে পরিবর্তন করেছিল। আমরা ওটাই ফিরিয়ে আনছি। এটা গতবার একসঙ্গে নিয়ে আসলেই হত। তাহলে আর এখন মাতামাতি হত না। ওটা ঠিক হয়নি। তারপরও এখন আনছি এটাই বড় কথা। বিলম্বে হলেও সঠিক কাজটি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে কীভাবে বিচার করা হবে এবং কারা এদের তদন্ত করবে তা এ আইন সংবিধান সংশোধনীর পর প্রণয়ন করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ‘সরকারে আর আমাদের মন্ত্রী রাখবো না’ এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘এরশাদ ও রওশন এরশাদের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এটা করলে সঙ্গে সঙ্গে সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা পাবে। তারা দেশের প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হবে। দেশের মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করবে। তখন রাস্তার বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি হালে পানি পাবে না।’
মন্তব্য চালু নেই