বিএনপি মানে ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহামুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি-বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টিতে পরিনত হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্পকলায় জাতীয় নাট্যশালার মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পৌর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কাজ হচ্ছে প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নালিশ দেয়া। আর কয়েকদিন আগে বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশ দিয়ে এসেছে। গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশিদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নালিশ দেয়া হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টিতে পরিনত হয়েছে।’

এদিকে গত ২৩ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সুইডেন, জার্মানি, তুরস্ক, কানাডা, নেপাল, জাপানের কূটনীতিক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সাথে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠক করে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে বৈঠকে বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে পৌর নির্বাচনের পরিস্থিতি, সরকারের মন্ত্রী-সাংসদ-নেতাদের নির্বাচনী ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন’, বিরোধী নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’, নির্বাচন কমিশনের ‘আজ্ঞাবহ’ ভূমিকা, প্রশাসনের ‘দলীয় ভূমিকা’, বিরোধীদলের প্রার্থীদের প্রচারে ‘বাধা’ ও নেতাদের ওপর ‘হামলার’ বিভিন্ন ঘটনাসহ সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে হাছান বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন- তা মূলত পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নিয়ে অবস্থানকে দৃঢ় করার জন্যই। অত্যন্ত সচেতনভাবে তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আগামী ২৬ মার্চ তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন না। যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করে শ্রদ্ধা জানাতে যান, তখন জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।’

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণসহ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। আসলে নির্বাচন কমিশন এমন অদ্ভুত আচরণবিধি কিভাবে তৈরি করলেন এটা গবেষণার বিষয়।’

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, হাসিবুল হক মানিক প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, হাসিবুল হক মানিক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই