বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ২, হরতালের ডাক

পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপি-যুবদলের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ ৫ জনসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি- যুবদলকর্মী আহত হয়। অবরোধকারীদের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, নোয়াখালীল সেনবাগ উপজেলার শিবপুর গ্রামের তোফায়েল আহমদের ছেলে মো. মিজানুর রহমান রুবেল (৩০) ও চৌমুহনী হাজিপুর গ্রামের খোরশেদ আলম বাবুর্চির ছেলে মুহসিন আলী (৩০)।

নিহত রুবেলকে নিজেদের কর্মী দাবি করে এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নোয়াখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা যুবদল।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নোয়াখালীর বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরের নূর মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৭), বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর গণিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩৫), উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মাসুদের রহমান (১২) ও ঝিনাইদহ জেলার বাঁধখালি এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে ও জমিদারহাট ব্যাংকের আনসার সদস্য জামাল হোসেন (৩২)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অবরোধের সমর্থনে চৌমুহনী পৌরসভা বিএপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু কামাঙ্কা চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে চৌমুহনী বাজার থেকে একটি মিছিল বের করে বিএনপির নেতা কর্মীরা। মিছিলটি ফেনী রোডের কাচারি বাড়ী মসজিদ পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় বাজারের দিকে আসার পথে রেইল লাইন এলাকায় এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়ে। এতে পুলিশ,পথচারী, ব্যবসায়ীসহ অন্তত বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় সংঘর্ষকারীরা ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় ও ব্যাপক ভাঙচুর।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু কামাঙ্কা চন্দ্র দাস নিহত রুবেলকে যুবদলের কর্মী দাবি ও হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলকর্মী রুবেল নিহত ও অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়।

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনুল হক জানান, পুলিশের গুলির হিসাব এখনো করা হয়নি। তবে, বিএনপির নেতা কর্মীদের হামলায় এসআই সাইফুল শিকদারসহ ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহতের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।



মন্তব্য চালু নেই