ন্যাপ নিয়ে টানাটানি

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট আবারো ১৮ থেকে ১৯-এ

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে (ন্যাপ ভাসানী) নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। গত ৩১ মার্চ যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার অভিযোগে জোট থেকে বেরিয়ে যায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি। ফলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট আবারো ১৮ দলে পরিণত হয়। তবে আগামী বৃহস্পতিবার ১৯ দলীয় জোটের বৈঠক আহ্বান করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু ১৮ আবার ১৯ হলো কী করে, এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেলো বৈঠকে ন্যাপ ভাসনীর প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবে। সে অনুযায়ী ১৯ দল আর ১৮ নয় ১৯ দলই থাকছে। এমন তথ্যের পর থেকেই ন্যাপ ভাসানীকে নিয়ে শুরু হয়েছে ধুম্রজাল। কেউ বলছেন ন্যাপ ভাসানী জোটেই আছে, আবার কেউ বলছেন নেই। কিন্তু থাকুক আর নাই থাকুক আগামী বৃহস্পতিবার জোটের বৈঠকে ১৯ দলের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলেই জানানো হয়েছে। সেখানে ন্যাপ ভাসানীর প্রতিনিধি হিসেবে অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন। এ বিষয়ে জোটের সদস্য বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘আমাদের জোট ভাঙেনি, ১৯ দলীয়ই আছে। বৈঠকে ১৯ দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে জোটে থাকতে চায় তারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এ অংশের নেতৃত্ব দেবেন সাবেক নির্বাহী সভাপতি ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোটেক আজাহারুল ইসলাম।’ দেশের সার্বিক রাজনৈতি পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও জোটের পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে এ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ইরান।
এ বিষয়ে ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেতৃত্বধীন জোট থেকে বেরিয়ে গেছি। এটা আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা এখন আর ১৯ দলীয় জোটে নেই।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাহী সভাপতি নামে আমাদের দলের কোনো পোস্ট নেই, কখনো ছিলও না। এটা প্রতারণা। আজাহারুল ইসলাম কখনো কমিটিতেই ছিল না।’ আজাহারুলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজাহারুল আমাদের দলের সাধারণ সদস্যও কখনো ছিলেন না। তিনি আমাদের দলের কাজ করার প্রস্তাব নিয়ে একদিন আমার বাসায় এসেছিলেন। তখন তিনি নির্বাহী সভাপতির পদ চেয়েছিলেন। আমি তাকে বিষয়টি দলীয় ফোরামে আলোচনার কথা বলি। এরপর আর কথা এগোয়নি।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী ঐক্যজোট মিলে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে। কিন্তু কিছুদিন পরই জাতীয় পার্টি এরশাদের নেতৃত্বে জোট থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু নাজিউর রহমান মঞ্জুর সমর্থক অংশ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি জোটে থেকে যায়। পরে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিএনপি আরো রাজনৈতিক দল নিয়ে ১৮ দলীয় জোট গঠন করে।
এদিকে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ১৮ দলীয় জোটে যোগ দেয়। এতে ১৮ দলীয় জোট পরিণত হয় ১৯ দলীয় জোটে।



মন্তব্য চালু নেই