বিএনপি জোট ছাড়ল ইসলামী ঐক্যজোট

অবশেষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিল আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় কনভেনশনে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় দলটি।

জোটে বিএনপির কাছ থেকে অবজ্ঞা ও অবমূল্যায়ন পাওয়ার অভিযোগ এনে ইসলামী ঐক্যজোট ২০ দল থেকে বের হয়ে যেতে পারে এমন গুঞ্জন ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় দলটির চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার যোগদানের পর এই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়।

১৯৯৮ সালে চারদলীয় জোট প্রতিষ্ঠার সময় থেকে মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বাধীন কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক বড় রাজনৈতিক সংগঠন ’ইসলামী ঐক্যজোট’ বিএনপির সঙ্গে জোট বাধে।

হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের পর থেকে মূলত বিএনপির সঙ্গে ঐক্যজোটের দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর ’ব্যর্থ’ আন্দোলন ও প্রতিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ’বঞ্চনা’কে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ও দূরত্ব দীর্ঘ হতে থাকে। সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে জোটগতভাবে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ঘোষণা না করায় চূড়ান্তভাবে সম্পর্কের অবনতি হয়। তারা জোটের কাছে ১০টি পৌরসভার জন্য ছাড় চেয়ে একটিও পায়নি।

কনভেনশনে আসা জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারাও তাদের বক্তব্যে জোটে তাদের অবজ্ঞা ও অবমূল্যায়নের অভিযোগ তোলেন।

তারা বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট কারো দয়ায়, মায়ায় রাজনীতি করে না। একইসঙ্গে তারা কারো রক্তচক্ষুকে ভয়ও পায় না। কেউ পছন্দ করুন আর নাই করুক ইসলামী ঐক্যজোট ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করবে। পাশাপাশি নাস্তিক ও মুরতাদদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাবে বলেও বক্তব্য দেন তারা।

নেতারা অভিযোগ করেন, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

তবে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, ‘জোট ছেড়ে দেওয়ার জন্য কোন চাপ ছিল না। বিএনপির বিরুদ্ধেও আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। নিজেদের দলে বেশি সময় দেওয়ার জন্য জোট থেকে বের হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই