বিএনপি কার্যালয়েই বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হবে

বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন পালন করায় জনগণের জবাব পেতে শুরু করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে যখন জন্মদিন পালন করছেন ঠিক সেই সময়ে তার নিজ বাড়ি ফেনীতে শেখ মুজিবুর রহমানেরশাহাদাতবার্ষিকীপালিত হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, বিএনপি কার্যালয়েই বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীপালিত হবে।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ছোট হল রুম মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী সমবায় লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, বেগম খালেদা জিয়া তার মিথ্যা জন্মদিনের কেক কাটবেন না। কিন্তু উনি (খালেদা) ঠিকই কেক কাটলেন। এজন্য জনগণও তাকে জবাব দেয়া শুরু করেছে। কারো বাড়ির আঙিনায় সেই বাড়ির লোকদের সহযোগিতা ছাড়া শাহাদাতবার্ষিকীপালিত হওয়া সম্ভব নয়, তাদের সহযোগিতায়ই বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীপালিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির কর্মীদের দুই পাশে আফগানিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতারা বসে আছে। বিএনপি নেতাদের হাত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ১৭ই আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার মানুষদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অভয়অরন্য সৃষ্টি করেছিলো। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ সাম্প্রদিকয়তা দূর করতে হলে বিএনপিকে চিরতরে দমন করতে হবে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, যে বয়সে নাতি-নাতনীর কেক কেটে জন্মদিন পালন করার কথা সে যায়গায় তিনি নিজেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করছেন। এটা বিকৃত মানসিকতা ও সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি আশা করবো খালেদার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, মানুষের বয়স যত বাড়ে ততই সাঁজগোঁজ কমে কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তার বয়স যত বাড়ছে সাঁজগোঁজ ততই বাড়ছে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই