প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাতে গঠিত দল বিএনপিও অবৈধ।

শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট। কিন্তু বিএনপি ইতিহাসও মানে না, হাইকোর্টও মানে না। স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না বলেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে আবোল-তাবোল কথা বলছে।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক গত ৮ এপ্রিল লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের ‘প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যার (তারেক রহমান) একাডেমিক ক্যারিয়ার ইন্ডারমিডিয়েট পাস করেনি বলে শোনা যায়; যার মা অষ্টম শ্রেণি পাস; তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সংবিধান শিক্ষা দেয়, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক কী হতে পারে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন সাহেব। জিয়াউর রহমান সেই সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারী। এই জিয়াউর রহমানকে সাহায্য করেছিল কর্নেল তাহের। যার একটি পা পঙ্গু ছিল। পঙ্গুদের ফাঁসি দেয়ার নিয়ম না থাকলেও তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। কত বড় মোনাফেক হলে ক্ষমতা দখল করতে তাকে যারা সাহায্য করেছিল, তাদের হত্যা করা হয়।’

অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান অসীম কুমার বিশ্বাস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা বেগম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ।

গত মাসে এক অনুষ্ঠানে জিয়াকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ বলার পর সমালোচনার মধ্যেই তারেক বঙ্গবন্ধুকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলেন, এজন্য তাকে ‘আহাম্মক’ বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, খন্দকার মোশতাককে বিদায় দেয়ার পর সায়েম সাহেবকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। পরে তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেকে নিজে রাষ্ট্রপতি বানান জিয়া।