বিএনপির মন্তব্য অবান্তর ও প্রতিহিংসামূলক : সুরঞ্জিত

প্রস্তাবিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে বিএনপির মন্তব্য অবান্তর ও প্রতিহিংসামূলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে সুরঞ্জিত বলেন, ‘জিয়া যখন বাজেট দিয়েছিলেন তা কি অনৈতিক ছিল না? যাদের নিজেদেরই নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে, তারা আর যা-ই বলুক, নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না। আসলে তাদের বলারও কিছু নেই। কারণ তাদের নৈতিকতাই নেই।`

‘অসাংবিধানিক সরকার’- বিএনপির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ১০০ ভাগ সাংবিধানিক। আপনারা না এলে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তো হবই।’

প্রাক্তন এই মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জীবনে আড়াই লাখ কোটি টাকার বাজেট কোনোদিন হয়নি। ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে আরো বেশি বাজেট হওয়া প্রয়োজন ছিল।’

এ সময় বাজেট বাস্তবায়নে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যম আয়ের দেশ নয়, মধ্যবিত্তের দেশে পরিণত হব। এটা শুধুই আমার কথা নয়। বিশ্বের সব অর্থনীতিবিদ তা-ই মনে করেন। এই বাজেটে যমুনা সেতুর চেয়ে একটি বড় পদ্মা সেতু হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের রাস্তা, পাতালরেল, ঢাকার চারপাশে আন্তনগর ট্রেন চালু হবে। এই কাজগুলো শেষ হলে অবশ্যই বাংলাদেশ মধ্যবিত্তের দেশে পরিণত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশ স্বপ্নের দেশ। এখন প্রশ্ন আসছে, আপনারা কী করবেন? কিন্তু আমরা প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৩ করতে চাই। যা আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল। আপনাদের এত ষড়যন্ত্রের পরেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬-এর ওপরে।’

সুরঞ্জিত আরো বলেন, ‘২৫ হাজারের বেশি বাড়িভাড়া হলে ব্যাংকে দিতে হবে। এটা না করে সব বাড়িভাড়াই চেকের মাধ্যমে হওয়া উচিত ছিল।’

বাজেট ঘাটতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বেশি বাজেট হলে ঘাটতি তো হবেই। আজকে বিএনপির গাত্রদাহ কেন আমি বুঝি না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় বাজেট দিয়েছেন। আর ওনারা বলেন, আমরা পারলাম না।’

সংগঠনের উপদেষ্টা হাজি মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপকমিটির সহ-সম্পাদক আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই