বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে হতাশার সুর

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের যে হুমকি দিচ্ছে তাতে হতাশার সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতারাই তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সংশয়ে আছেন। কারণ অতীতেও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে নেতারা চেয়ারপারসনের বাড়ির সামনে একশজন কর্মীকেও জড়ো করতে পারেননি। আন্দোলনের তারিখ ঘোষণা করেও নেতাদের খুঁজে পায় না বিএনপি।’

‘আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘দেশের জনগণ আর হাওয়া ভবনের দুঃশাসন দেখতে চায় না’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা যখন আন্দোলনের কথা বলেন তখন মানুষের মধ্যে সেই দুঃসহ স্মৃতি ফিরে আসে। যখন আপনারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে জামায়াতকে সাথে নিয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, বাসে অগ্নিসংযোগ করে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলেন। সারা দেশে যে নৃশংসতা করেছিলেন তা জনগণ কখনোই ভুলে যাবে না। তাই আন্দোলনের নামে যদি আবারো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয় তাহলে সরকার তা শক্ত হাতে দমন করবে। সরকার সকল প্রকার নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস দমনে বদ্ধ পরিকর।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে হাওয়া ভবন হয়ে উঠেছিল সকল প্রকার দুর্নীতি, অপশাসন, চাঁদাবাজি ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য। আর এই দুর্নীতি-অপশাসনের মূল নায়ক ছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যাকে সবাই দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে জানেন। যার নেতৃত্বে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারেক রহমানকে খুঁজছে। তিনি দেশে ফেরা মাত্রই তাকে দুর্নীতির দায়ে আদালত ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি হতে হবে।’

স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, এম এ করিম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই