বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বৈধ : হাইকোর্ট

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ) মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পুরো প্রক্রিয়াটি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকদের গোপনীয় তথ্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে সিম নিবন্ধনে বিটিআরসির জারি করা নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিহউজ্জামান, ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার মো. মোক্তাদির রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের জানান, আদালত রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন। সেখানে দুটি বিষয়ের কথা বলেছেন আদালত। প্রথমত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে বিটিআরসি যেসব বিষয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।

দ্বিতীয়ত যেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে, সেখানে আঙ্গুলের ছাপ যেন যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়।

গত ৯ মার্চ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন আইনজীবী এসএম এনামুল হক। এরপর ১৪ মার্চ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলে এক সপ্তাহের মধ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও ডিজি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় পরিচয়পত্র উইংয়ের ডিজি, স্বরাষ্ট্র, আইন, ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ সচিব, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল ও টেলিটক কর্তৃপক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।



মন্তব্য চালু নেই