বাস্তবের মৎস্য কন্যা (দেখুন ভিডিওতে)
অনেকদিন আগের কথা। তখনো পৃথিবীতে এতো লোকের আনাগোনা শুরু হয় নি। সে সময় কিছু মানুষ তখন সাইবেরিয়া, আলাস্কা, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোর উত্তরে বসবাস করতো। তারা নিজেদেরকে ‘ইনুইট’ বলে ডাকতো, যার অর্থ ‘মানুষ’। সেই ইনুইটদের ভেতর ছিল খুব সুন্দরী আর রুপসী এক মেয়ে। সবাই তাকে ’সেডনা’ বলে ডাকতো।
বিপদে পড়ে একবার সেডনার বাবা তাকে সাগরে ছুড়ে ফেলে দেয়। সেডনা তাতে মারা যায় না। সে হয়ে যায় মৎস্য কন্যা। বেঁচে থাকে ইনুইটদের প্রধান দেবী হয়ে। তার উপরের অংশ মানুষের মতো এবং নিচের অংশ মাছের লেজের মতো।
এগুলো আসলে সবই রূপকথা। সাইবেরিয়ার রূপকথা এগুলো। তবে এবার আর রূপকথা নয়। দেখা মিলেছে বাস্তবের মৎস্য কন্যার। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ মৎস্য কন্যাদের মধ্যে আছে পুরুষরাও। তারা একসাথে সাতার কেটে বেড়ায়। এরা বাস্তবের মৎস কন্যা, তবে দেব দেবতা নয় মানুষ। নারী, পুরুষ, শিশু- সবাই আছে এদের মধ্যে।
মৎস্য কন্যা সেজে প্রায় দুইশ জন মিলে সাতার কাটছিল একটি সুইমিং পুলে। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে এ কাজ করছে তারা। তাদের একজন ফ্রেজার বিষয়টিকে বর্ণনা করেন ‘পরিবেশ শিল্প কার্যক্রম’ হিসেবে। বিভিন্নজন বিভিন্ন ধরনের মাছের মতো সেজে সুইমিং পুলটিতে সাতার কাটতে এখানে এসেছেন।
ক্লোরিনযুক্ত পানিতে সাতার কাটার সময় আলোর মতো জ্বলে ওঠে তাদের কৃত্রিম পাখনাগুলো। পানির প্রায় ১৫ ফিট গভীরে সাতার কেটে চলেছেন তারা। হান্না ফ্রেজার বলেন, ‘আপনি যখন পানির নিচে সাতার কাটবেন, তখন শ্বাস নেয়া আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। এটা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক খেলা। এ সময় আপনি বুঝতে পারবেন যে বেঁচে থাকার জন্য আপনার অক্সিজেন প্রয়োজন।’
মন্তব্য চালু নেই