দু দু’বার শ্রেষ্ট ও মাদার তেরেসা পুরস্কার প্রাপ্ত
বাল্য বিয়ে না দেওয়ার কারনে ইউপি চেয়াম্যানকে যেতে হলো কারাগারে
বাল্য বিয়ে দিতে অস্বীকৃতির জানানোর কারনে জেলে যেতে হলো সাতক্ষীরার বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানকে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ থানা থেকে তাকে আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও রহস্যজনক কারনে আবারো গভীর রাতে আটক করে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের স্ত্রী রেছাত জানান, সদর থানার ভাটপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম খোকনের মেয়ে রুবিনা ইসলাম জ্যোতির দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের আব্দুর রকিব এর ছেলে ইমরান হোসেনের সাথে। ইমরান সম্প্রতি একটি চাকুরী নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। প্রেমের টানে গত কয়েক দিন আগে জ্যোতি কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় ইমরানের কাছে চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়ের বাবা চেয়ারম্যানকে চাপ দিতে থাকেন তাদেরকে বিয়ে দেওয়ার জন্য । মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় চেয়ারম্যান বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এবং বিষয়টি মিমাংসার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে থানায় যান।
এ সময় পুলিশ কোন কথা না শুনে জ্যোতি কে অপহরণ করা হয়েছে এই অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানে আটক করে। কিন্তুু পরে তাকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর পরই একটি স্বার্থন্বেসী মহল মেয়ের পিতাকে দিয়ে একটি নারি ও শিশু নির্যাতনের আইনে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করায়। আর এ কারনেই পুলিশ থানাতে অবস্থান করা অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে তাকে আটক করে।
এলাকার একাধিক ব্যাক্তি সাংবাদিকদের জানান, চেয়ারম্যান সাহেব দু দু’বার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জণ করেন। এবং মাদার তেরেসা পদক লাভ করেন। আগামী নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদি। তারা আরো জানান,ইমরান এবং জ্যোতিকে বিয়ে না দেওয়ার কারনে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাসানো হয়েছে। তাদেরকে কেন বিয়ে দেওয়া হলো না জানতে চাইলে জানান, মেয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী । এখনও বিয়ের বয়স হয়নি।
এ ব্যাপারে বল্লী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার কাছে মেয়ের বা মেয়ের পরিবারে পক্ষ থেকে ঐ ছেলের বিরুদ্ধে কেউই কোন অভিযোগ করেনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ জানান, তার বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতনের একটি মামলা হওয়ার কারনে তাকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই