বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল মাদরাসার ছাত্রী

চট্টগ্রামের রাউজানে অবশেষে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল এক মাদরাসাছাত্রী। বর অনুষ্ঠানস্থলে এল্ওে বউ না নিয়ে ফেরত যেতে বাধ্য হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, মেয়েটি উপজেলার কদলপুর হামিদিয়া ফাযিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছিল।

গত শুক্রবার অভিভাবকরা মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের আয়োজন করেছিল কিন্তু জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে রাউজান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, থানার ও.সি ও কদুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নজরে এনে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কদলপুরের ফেদুমিয়া গাজীর বাড়ীর প্রবাসি বদিউল আলমের কন্যা কদলপুর হামিদিয়া মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী জয়নু আকতারের সাথে তার অভিভাবকরা পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই গ্রামের আমিুনুল হকের প্রবাসি পুত্র মো. কদরের বিয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় গত ২৭ মার্চ শুক্রবার।

কদলপুর হামিদিয়া মাদরাসা সূত্র জানায়, মেয়েটি ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। তার রোল নং- ৪৬, মাদরাসার রেকর্ড অনুযায়ী তার জন্ম ১৫/০৩/১৯৯ইং। সে অনুযায়ী তার বয়স ১৬ বছর। স্থানীয় কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল হয়ে আমি জন্ম নিবন্ধন দেখে কাবিন রেজিস্ট্রি করা থেকে বিরত থেকে অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসি।

ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদ উদ্দিন লিংকন বলেন, বাল্য বিয়ে কখনো মেনে নেওয়া যায়না। তারা অনেক চেষ্টা করলেও আমি বয়স বাড়িয়ে জন্ম সনদ দেয়নি। খবর পেয়ে আমি তাদের ডেকে এনে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করি। বর অনুষ্ঠানস্থলে এলে ফিরে গেছে।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা ও থানার ওসি প্রদিপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই