বার্ধক্যই হবে বড় চ্যালেঞ্জ
বর্তমানে দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ নাগরিক প্রবীণ (৬০ বা তার বেশি বছর বয়সী)। ২০২৫ সাল নাগাদ এদের সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ এবং ২০৫০ সালে প্রায় চার কোটি। কেবল তাই-ই নয়, ২০৫০ সালের দিকে এদেশে শিশুদের চেয়ে প্রবীণদের সংখ্যা হবে বেশি। সহসাই দেশের আর্থসামাজিক ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বার্ধক্যই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রোববার ধানমণ্ডির জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল এবং ঢাকা এভারগ্রিন রিটায়ার্ড হোমসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জেরিয়াট্রিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনারে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক হেলথ্, জাপানের প্রফেসর নানাকো হিদেকি ইয়ামামাটোর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের দল উপস্থিত ছিলেন।
এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা এভারগ্রীন রিটায়ার্ড হোমসের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট লেপারোস্কোপিক সার্জন প্রফেসর ডা. সরদার এ নাঈম।
বৃদ্ধ বয়সের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্পর্কে নানাকো হিদেকি ইয়ামামাটো বাংলাদেশে নন-ফরমাল সার্ভিস স্বল্প খরচে বাস্তবায়িত করনের পরামর্শ দেন। সেমিনারে অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, দূত, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশ নেন।
প্রফেসর ডা. জোনাইদ শফিক বলেন, ‘বর্তমানের বাংলাদেশের ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সব বৃদ্ধ/বৃদ্ধাই সবসময় তার মৃত্যুর কথা চিন্তা করেন আর তার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেন। অথচ বহির্বিশ্বে এর ব্যতিক্রম। সেখানে বৃদ্ধরা খেলাধুলা, বিনোদন থেকে শুরু করে প্রায় সবধরনের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করেন। আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ যদি এগিয়ে আসেন তবে তা আমাদের দেশেও সম্ভব।’
মন্তব্য চালু নেই