বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশের ‘জিজ্ঞাসাবাদ’

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এনে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে দাপ্তরিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাবুল আক্তারকে ঢাকা থেকে নিয়ে শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম পৌঁছে। তাকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে সুনির্দিষ্টভাবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সফল ও আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যায় পুলিশের একটি দল।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাবুল আক্তারকে বাসা তাদের থেকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যান খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মঈনুল হোসেন এবং মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন। এরপর থেকে তারা বাবুল আক্তারের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে পারছেন না।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শনিবার সকালে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে তার স্ত্রী হত্যাকা-ে কয়েকজন আসামির সামনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়েছে কি-না সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সময় হলে সব জানতে পারবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাবুল আক্তারকে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। তাকে গোয়েন্দা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দাপ্তরিকভাবে কোন মন্তব্য না করে নগর পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন সময় হলে আপনারা সব জানতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত ও গুলি করে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে। এই ঘটনায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই