বাবা-মা পালিয়েছে, এখন অনাহারই ভরসা এই তিন শিশুর

যেদিন স্কুল খোলা থাকে সেদিন দুপুরে মিডডে মিলের খাবার খেয়ে দিন কাটে দুই বোনের। দিদি বিজলি কচু ও শাকপাতা কুড়িয়ে আনলে অথবা প্রতিবেশীরা দয়াবশত কেউ কিছু দিলে তাই খেয়ে দিন কাটায়।

বাবা মা কেউই নেই। তিন বোনের সকলেই নাবালিকা। বাবা মা ও পরিবারের আর কেউ না থাকায় চরম অসহায় অবস্থায় এক প্রকার না খেয়েই দিন কাটছে নাবালিকা এই তিন বোনের।

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি-র ডাবরা এলাকার ঈশ্বরপাড়ায় বাড়ি বিজলি, দীপালি ও কাকলির। বাড়ি বলতে তাদের মাটির একটি ভাঙা ঘর মাত্র। সেখানেই অসহায় তিন বোন বাস করে। বড় বোন বিজলির বয়স ১৫, মেজো দীপালির ১১ এবং ছোট

কাকলির বয়স মাত্র ৬ বছর। মা মণিকা হাঁসদা বছর তিনেক আগে পরপুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। বছর দেড়েক আগে বাবা যোসেফ কিস্কুও নাবালিকা মেয়েকে ফেলে রেখে কাজের নামে ভিন রাজ্যে গিয়ে আর বাড়ি মুখো হয়নি। দাদু-ঠাকুরমা বা আত্মীয়স্বজন বলতে কেউ নেই। এই অবস্থায় মেয়ে তিনটি অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

বাবা তাদের ফেলে চলে গেলেও দিদি বিজলি কিন্তু তার দুই বোনকে ফেলে দিতে পারেনি। দীপালি ও কাকলি, দুই বোনের দেখাশোনা ও পরিচর্যায় বড় বোন বিজলি পঞ্চম শ্রেণিতেই লেখাপড়া বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। এলাকারই ভীমপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের প্রথম শ্রেণিতে কাকলি ও চতুর্থ শ্রেণিতে দীপালি পড়ে। যেদিন স্কুল খোলা থাকে সেদিন দুপুরে মিডডে মিলের খাবার খেয়ে দিন কাটে দুই বোনের। আর যেদিন স্কুল বন্ধ থাকে সেদিন না খেয়েই থাকতে হয়। দিদি বিজলি কচু ও শাকপাতা কুড়িয়ে আনলে অথবা প্রতিবেশীরা দয়াবশত কেউ কিছু দিলে তাই খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই রকম অবস্থায় প্রশাসনের সাহায্যের আশায় মুখ চেয়ে রয়েছে অসহায় বাচ্চা তিনটি। দিদি বিজলীর এখন একটাই দাবি— প্রশাসন পাশে দাঁড়িয়ে তাদের উদ্ধার করুক।

খোদ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা শাসক দলের বডগে সোরেনও দাবি করেছেন যে, প্রশাসন শিশু তিনটির পাশে দাঁড়াক।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই