বাবা-মায়ের হাতে শিশু মৃত্যু হার বেড়েছে
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ২০১৫ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে শিশু মৃত্যুহার কমেছে। অথচ বাবা-মায়ের হাতে শিশুদের মৃত্যু হার বেড়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় শিশুদের নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে শিশুদের অধিকার পরিস্থিতি আরো উন্নত করার দাবি জানায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম। পাশাপাশি শিশুদের পরিবার ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সর্বমোট ১২টি সুপারিশ তুলে ধরেছে ফোরামটি।
সভায় শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুছ সহিদ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে-
• হত্যা ধর্ষণসহ সব ধরনের শিশু নির্যাতনের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া এবং রায় দ্রুত কার্যকর করা।
• যেসব নির্যাতিত দরিদ্র শিশুর বাবা-মায়ের মামলা করার বা চালানোর সামর্থ্য নেই তাদের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শারীরিক শাস্তি বা নির্যাতন বন্ধে যে বিধান রয়েছে তা কেন সঠিকভাবে কার্যকরী হচ্ছে না তা যথাযথভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
• বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বাজেটে শিশুদের জন্য যে বরাদ্দ করা হবে তা সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি না তা তদারকির ব্যবস্থা করা।
• শিশু আইন ২০১৩ এর প্রয়োগের বিধি যথাশিগগিরই প্রণয়ন করাসহ আইনের বাস্তাবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
• শিশুদের সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় রেখে খসড়া শিশু অধিদফতরের কাঠামোটি চুড়ান্তকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
• যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সঠিকভাবে পড়ানো এবং সচেতন করে তোলা।
• শিশুর যৌন নির্যাতন বন্ধে শিশুর বাবা-মাকে সবচেয়ে বেশি সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।
• পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কারো আচরনে অসঙ্গতি দেখা দিলে (যেমন, মাদকাসক্ত বা মানসিক ভারসম্যহীনতা) অবহেলা না করে মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান এমরামুল হক চৌধুরির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ এহসানুল হক সহ ফোরামের সদস্যরা।
মন্তব্য চালু নেই