৫ পুলিশ বরখাস্ত

বাগেরহাটে হাতকড়া খুলে ও চুয়াডাঙ্গায় ভেন্টিলেটর কেটে আসামির পলায়ন

বাগেরহাটে আদালতে নেয়ার পথে পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া খুলে আসামি পালানোর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পাঁচ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করেন।
বরখাস্ত করা ওই পুলিশ সদস্যদের আদালত থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে আসামি পালানোর ঘটনায় বাগেরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সাদিয়া আফরোজকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা পাঁচ পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করার কথা স্বীকার করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম বলতে পারেননি।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাগেরহাট কোর্ট হাজতখানা থেকে আদালতে নেয়ার পথে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে পালায় ডাকাতি মামলার আসমি গাজী দেলোয়ার হোসেন (২২)।
বাগেরহাট সদর উপজেলার মহাদেবের মোড় এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ার খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুর গ্রামের আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে।
বাগেরহাটের আদালত পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল ৮টার দিকে দেলোয়ারসহ ১২জন আসামিকে আদালতে হাজির করতে জেলা কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। আদালতের হাজতখানা থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নেয়ার পথে দেলোয়ার কৌশলে হাতকড়া খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

## চুয়াডাঙ্গায় ভেন্টিলেটর কেটে আসামির পলায়ন
চুয়াডাঙ্গায় জেলা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে এক আসামি পালিয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিকালে হাজতখানার বাথরুমের ভেন্টিলেটরের রড কেটে ওই আসামি পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পলাতক মোহাম্মদ শাহিন (২০) হত্যা প্রচেষ্টা ও চুরি মামলায় নয় মাস ধরে কারাগারে আটক ছিল। সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ ক্যাম্প পাড়ার মৃত আক্তার আলীর ছেলে শাহীন। এ ব্যাপারে রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান জানান, গত বছরের ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা শহরের এতিমখানা পাড়ার এক বাড়িতে চুরি করতে ঢুকলে শাহিনকে ধরে ফেলে গৃহকর্তা। এ সময় শাহিন তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ওই গৃহকর্তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে শাহিনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এ ঘটনায় শাহিনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও চুরির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি বলেন, “মঙ্গলবার ওই মামলার ধার্য দিনে জেলা কারাগার থেকে শাহিনকে আদালতে হাজিরার জন্য নিয়ে আসা হয়। অন্য আসামিদের সঙ্গে তাকে আদালতের হাজতকক্ষে রাখা হয়। শাহিন হাজতখানার বাথরুমে ঢুকে দীর্ঘসময় বের হয়ে না এলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে বাথরুমে ঢুকে দেখা যায়, ভেন্টিলেটরের রড কেটে পালিয়ে গেছেন তিনি।”



মন্তব্য চালু নেই