ডয়চে ভেলেকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টারিয়ান :

বাংলাদেশ সংকট নির্বাচনেই সমাধান

নতুন নির্বাচনই বাংলাদেশের বিরাজমান সহিংসতাপূর্ণ অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গত সপ্তাহে ঢাকা সফরে আসা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সদস্য ও প্রভাবশালী পার্লামেন্টারিয়ান জোসেফ উনডেনহোলজার।

মঙ্গলবার জার্মানির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জোসেফ উনডেনহোলজার বলেন, বাংলাদেশে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতার অবস্থা এখনো বেশ দূরে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ইতিবাচক নির্দেশনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা সফরে গিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজপথে সহিংসতার তেমন বেশি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু আপনি যদি সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে বুঝতে পারবেন দেশটির সহিংসতার গভীরতা কত বেশি।

উনডেনহোলজার বলেন, ‘উভয় পক্ষের (সরকার ও বিরোধী দল) সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পেয়েছি, কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। দলের সংস্কারের জন্য তাদের কোনো আগ্রহও দেখা যায়নি। দুই দলই (সরকারি ও বিরোধী দল) আমাদের ভিডিওতে প্রাণঘাতী হামলার চিত্র দেখিয়েছে, যাতে তৃতীয় কোনো পক্ষ ওই হামলায় যুক্ত বলে তারা দাবি করেছে। অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় এবং তিনি বেশ উদ্বিগ্ন।’

দেশের রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবাধ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় নতুন নির্বাচনই দেশের স্থিতিশীলতা আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো সময় রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে দেশটি সক্ষম বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

দেশের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টির জন্য দেশটির শীর্ষ দুই নেত্রী সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে মনে করেন তিনি। দুই নেত্রীর কারণেই পুরো দল দুটি ভুগছে বলেও মন্তব্য তার।

প্রখ্যাত এ পার্লামেন্টারিয়ান বলেন, সম্ভাব্য নতুন নির্বাচন দেশে নতুন মুখ ও নতুন মানুষ তুলে আনবে। আর তখনই দেশের পরিবর্তন শুরু হবে।

বিবদমান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজ কী হবে- এমন প্রশ্নে উনডেনহোলজার বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। কিন্তু আমি মনে করি, এ ব্যাপারে বাইরে থেকে পদক্ষেপ দরকার। অন্যথায় দেশের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না। বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই দেশটির বিষয়ে ইইউর অবস্থান জানিয়ে আসছে।’



মন্তব্য চালু নেই