বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি অর্থপাচার হয় না : অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি পরিমাণে অর্থ পাচার হয় না বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার সংসদে স্বপন ভট্টাচার্যের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের যেসব কাহিনি শুনি, তা সঠিক নয়। এগুলো রংচং দিয়ে বলা হয়। তবে অর্থ পাচার যে একেবারে হয় না, তা নয়। যে ধরনের অর্থ পাচারের কথা বলা হয় বাস্তবে ততটা হয় না। আমাদের অর্থ পাচার খুব বেশি নয়।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে গচ্ছিত বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ আদায়বিষয়ক অন্য এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল রিজার্ভ নয়, রিজার্ভের টাকা তো সামান্য। এটা আর কত হবে, বড়জোর ৭০-৮০ কোটি ডলার। সর্বোচ্চ হলে ১০০ কোটি ডলার। কিন্তু আমরা পাকিস্তানের কাছে চার ধরনের খেসারত চেয়েছি। তারা আমাদের দেশের যে ক্ষতি করেছে, অর্থনীতি যেভাবে ধ্বংস করেছে, সেটা অনেক বড়। এসব বিষয়ে আমরা খেসারত চেয়েছি এবং আমাদের দাবি আদায়ে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত দিন আওয়ামী লীগ সরকার থাকবে, আমাদের এ দাবি সব সময় থাকবে। আমরা এটার পেছনে লেগে আছি।’

নাসিমা ফেরদৌসীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা কোম্পানির সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৩২। এদের কাছে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৮ হাজার ৮৭৭ কোটি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ৫৫ কোটি টাকা।

আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে ৯ হাজার ৯৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লিঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। এই ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। তবে তৈলবীজ, মসলা-জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদের হারে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ৬ শতাংশ সুদ ভর্তুকি প্রদান করে থাকে।

জাহান আরা বেগমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ১০১ দশমিক ০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে চারটার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই