‘বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জাতিসংঘ’

বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।

বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান। ডোজারিক বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এবং ইতিবাচক উন্নয়নে জাতিসংঘ মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই লক্ষ্যে মহাসচিব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “বাংলাদেশ এক সঙ্কটময় পরিস্থিতি পার করছে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সবমাত্রা অতিক্রম করেছে। রাস্তায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্যে সংগ্রাম করছে। গত বছরের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পূর্বে জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফর করে কোনো ধরণের সমঝোতা ছাড়াই ফিরে আসেন। ফলে ১৫৪টি আসনে কোনো ধরণের প্রতিদ্ধন্দ্বিতা ছাড়াই ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। আপনি কি মনে করেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশই যথেষ্ট, নাকি একটি একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি?”

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মূখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘেরর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করেছেন। যাতে করে বাংলাদেশ সরকারের সাথে বিষয়টি নিস্পত্তি করা যায়। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এবং ইতিবাচক উন্নয়নে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশ প্রশ্নে জাতিসংঘ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে গত এক বছর ধরে যে সহিংসতা হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে সেজন্য।”

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। দেশটির সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও একই দাবি জানানো হয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের দাবি জানান। এছাড়া, ঢাকায় নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লারামি গতকাল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দেখা করে সহিংসতা বন্ধ এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই