বাংলাদেশে ব্লগার অথবা সাংবাদিক হওয়া বিপজ্জনক : অ্যামনেস্টি
মানবাধিকার ইস্যুতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বাংলাদেশের খুব বেশি পার্থক্য নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সাংবাদিক অথবা ব্লগার হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০১৬ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠন বন্ধ অথবা হেনস্তা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক আমলের আইন প্রয়োগ, অনলাইনে সমালোচনার বিরুদ্ধে নতুন আইনের প্রয়োগ হয়েছে। এছাড়া সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাশবিক নিপীড়নের ঘটনাও ঘটেছে।
অ্যামনেস্টি বলছে, বিভীষিকাময় ২০১৫ সালের পর গত বছর বাংলাদেশে পৃথক হামলায় অন্তত পাঁচজন সেক্যুলার ব্লগার খুন হয়েছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের এলজিবিটি সম্প্রদায়, হিন্দু, খ্রিস্টান, সুফি মুসলিম ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকরা হামলার নতুন লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন।
পাকিস্তানে চলতি বছরে চার ব্লগার নিখোঁজ হয়েছিলেন। নিখোঁজের পর তারা বাসায় ফিরে এলেও কারা তাদেরকে নিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেবিষয়ে দেশটির সরকার তদন্ত করেনি। পাকিস্তানি প্রেস ফাউন্ডেশন বলছে, ২০১৬ সালে পাকিস্তানে দুই সাংবাদিক খুন হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ হয়েছে একজন এবং হামলায় আহত হয়েছে আরও ১৬ সাংবাদিক।
একই বছর ভারতে দুই সাংবাদিক খুন হয়েছে। কয়েকটি ঘটনায় ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করেছে কর্তৃপক্ষ। আফগানিস্তানে সংঘাত বিস্তৃতি লাভ করেছে। দেশটির অনেক অংশ জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দখলে নেয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ হামলার সঙ্গে তাদের অগ্রগতি ধরে রেখেছে। দেশটিতে বাস্ত্যুহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জনাকীর্ণ আশ্রয় শিবিরে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ ধুঁকছে।
মন্তব্য চালু নেই