বাংলাদেশে ট্রানজিট পাবে নেপালের ত্রাণবাহী বিমান

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালের উদ্দেশ্যে ত্রাণবাহী বিদেশি বিমান বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

বৈঠকসুত্র জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নেপালে ত্রাণবাহী বিমান অবতরণে সমস্যা হচ্ছে। এসব বিমানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট দেওয়ার সুযোগ দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দ্বিতীয় রাষ্ট্র নেপাল। তা ছাড়া নেপাল আমাদের ভালো প্রতিবেশী। যেকোনো দেশের ত্রাণবাহী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তেজগাঁও বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া ত্রাণবাহী বিদেশি হেলিকপ্টারও লালমনিরহাটে অবতরণ করতে পারবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, ভূমিকম্প পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশেও ভূমিকম্প হতে পারে। তাই ভূমিকম্প মোকাবিলায় আমাদের যা কিছু সামর্থ আছে, তা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

ভৌগলিকভাবে নাজুক অবস্থানের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। কারণ, বাংলাদেশ অবস্থান করছে ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং মায়ানমারের টেকটনিক প্লেটের মধ্যে। এমনটাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

গত শনিবার নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার পর, কাঠমাণ্ডুর `ত্রিভূবন` আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে বিমান ঠিকমত উঠানামা করতে পারছে না। গতকাল রোববার বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ বিজি ৭০১ কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে নামতে না পেরে শাহজালাল বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণবাহী বিমানও কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে নামতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও চীন। বাংলাদেশের পাশাপাশি, উদ্ধার কাজে সহায়তা ও ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে।

শনিবার ভূমিকম্পের আঘাতের পরপরই দেশটির সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।



মন্তব্য চালু নেই