বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের শঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের
![](https://archive1.ournewsbd.net/wp-content/uploads/2016/02/2016_02_10_17_32_25_TwCzDO41XzYK3ByD7mBHRhow4qVY5W_original.jpg)
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে বর্তমান সরকার যে চেষ্টা করছে তাতে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটাতে পারে। এ আশঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ প্রধান জেমস ক্লাপারের। এ ‘প্রয়াস’ চলতে থাকলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স’র (ডিএনআই) প্রধান এ আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিক হত্যায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জনমনে যে ধারণার কথা বলা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। একই সঙ্গে বলেন, এসব হত্যা শেখ হাসিনা সরকারকে বিদেশি রাষ্ট্রের সামনে ব্যর্থ প্রমাণের উদ্যোগের অংশ বলেও প্রচারণা রয়েছে। মার্কিন সিনেটে শুনানিতে এ তথ্য জানান জেমস ক্লাপার।
২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদেশি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ প্রগতিশীল লেখক ও ব্লগারদের ওপর মোট ১১টি বড় ধরনের হামলা হয়েছে। এসব হামলায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা দায় স্বীকার করেছে বলে সিনেটকে জানান ক্লাপার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং সহিষ্ণু মুসলিম দেশ। তবে এখানে সম্প্রতি কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিদেশিদের ওপর হামলার ঘটনায় আইএসের জড়িত থাকার বিষয় বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে শেখ হাসিনা সরকার। স্থানীয় ইসলামি সংগঠন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এসব হামলায় জড়িত বলে দাবি সরকারের।
বিরোধী দলের বয়কটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং মানবতাবিরোধী মামলায় জামায়াত নেতাদের দণ্ড দেয়ার পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করেছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা, পুরান ঢাকার শিয়া মসজিদে হামলাসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও মুক্তমনা লেখক ও ব্লগারদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য চালু নেই