‘বাংলাদেশের ৫৩ শতাংশ ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার’

যৌন হয়রানির শিকার নারী ও শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগই ছাত্রী। যাদের সংখ্যা ৫৩ শতাংশেরও বেশি।

এরমধ্যে ২৫ শতাংশই শিশু। আবার মোট যৌন হয়রানির শিকার হওয়া স্ত্রী লিঙ্গধারীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা শতকরা ৭৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপ-পরিষদ ‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন চিত্র-২০১৫’ শীর্ষক জরিপ চালায়।
এতে দেখা যায়, ছাত্রীদেরই পরেই যৌন হয়রানির শিকার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন গৃহিণীরা। এক্ষেত্রে যৌন হয়রানির সংখ্যা ২৬ শতাংশ। পরিচারিকা ও বিধবারাও বাদ যাননি যৌন হয়রানি থেকে। এ সংখ্যা শতকরা ২ শতাংশ। এর বাইরেও শতকরা ১৯ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। এদের মধ্যে ১১ শতাংশ নারী নিজেদের পেশা প্রকাশ করতে চাননি।

হয়রানির শিকার হওয়াদের মধ্যে ৪১ শতাংশের বয়স ২ থেকে ১৩ বছর। আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৮ বছর থেকে ৩২ বছরের নারীর সংখ্যা ৪২ শতাংশ।

জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, যৌন হয়রানির শিকার নারীদের মধ্যে ৫২ শতাংশই গ্রামে থাকেন। অন্যদের মধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকার ২০ শতাংশ এবং জেলা শহরের ১১ শতাংশ, উপজেলা এলাকার ১৭ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন।

হয়রানির শিকার নারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশই নির্যাতিত হন এলাকার বখাটে মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের হাতে, ১৪ শতাংশ গৃহ শিক্ষকের হাতে, প্রতিবেশীদের হাতে ১০ শতাংশ, স্বামী দ্বারা ৫ শতাংশ, আত্মীয়ের হাতে ৩ শতাংশ, স্বামীর পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ২ শতাংশ, চিকিৎসকদের দ্বারা ৩ শতাংশ, প্রেমিকের মাধ্যমে ৪ শতাংশ, সহপাঠীদের মাধ্যমে ৪ শতাংশ, অপরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে ১ শতাংশ এবং অন্যান্য সূত্রে আরও ২৫ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। ১৬ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত বয়সের পুরুষরাই এই যৌন হয়রানি করে থাকেন।

জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী যৌন হয়রানিকারীদের মধ্যে সমাজের সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ রয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীর সম্পর্ক ও পেশা বিশ্লেষন করে দেখা যায়, একজন নারী তার স্বামী, প্রেমিক, বন্ধু, আত্মীয় স্বজন, স্কুলের শিক্ষক, প্রতিবেশী, গৃহ শিক্ষক ও অপরিচিতদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আতংকের বিষয় হলো ১৩ শতাংশ শিক্ষক এবং ৫ শতাংশ পুলিশ অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই