বাংলাদেশের পতিতালয়ের জীবন

বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে পতিতাবৃত্তি আইনি স্বীকৃতি পেলেও দেশটির পতিতাদের দৈনবস্থা কাটেনি এখন পর্যন্ত। এমনকি দেশটিতে পতিতা হিসেবে কাজ করছে শিশুরাও। তবে এখানে পতিতারা অনেকটাই সমাজ বিবর্জিত।

মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশটিতে পতিতাদের বারবারই পড়তে হয়েছে হামলার মুখে। ২০১০ সালে মৌলবাদীরা একটি পতিতালয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিলে দুই জন নারী আহত হন এবং বাকিরা সর্বশান্ত হয়ে যান।

এক যৌনকর্মী ওই ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেন, আমরা সবকিছুই হারিয়েছিলাম এবং নদীতে ঝাপ দিয়েছিলাম। আমাদের পরার মত কাপড়ও ছিল না এবং আমাদের বাধ্য করা হয় খোলা আকাশের নীচে থাকতে। আমরা প্রায় একমাস রাস্তায় অবস্থান করেছিলাম। ওই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।

পতিতাদের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন সংগঠন গঠিত থাকলেও তাদের অধিকার ততোটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

ফরিদপুরের পতিতা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আহিয়া বেগম বলেন, লোকজন তাদের জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে আমাদের ব্যবহার করলেও আমাদের পশু বলে বিবেচনা করে।

বাংলাদেশের পতিতাদের নিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছেন স্প্যানিশ ফটোগ্রাফার মিগুয়েল ক্যান্ডেলা। তার কিছু ছবি তুলে ধরা হল পাঠকদের জন্য।

ppp_8
সমাজ তাদেরকে অন্ধকারে থাকতে বাধ্য করছে। মানুষ তাদের কাছ থেকে জৈবিক চাহিদাও মিটাচ্ছে আবার তাদের প্রতি ঘৃনাও প্রকাশ করছে।
ppp_7
খদে্দররা তরুণীদের খোঁজে, তাই বৃদ্ধরা অনেকটাই কর্মহীন।
ppp_6
খদ্দেরের পিছনে লুকিয়েছেন এক যৌনকর্মী।
ppp_5
পরিবারকে সহায়তার জন্য যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন জুলি।
ppp_4
১৫ বছর বয়সে ধর্ষিত হওয়ার পর লিমা নামের এই মেয়েকে পতিতা হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। তিনি প্রতিদিন ৭ থেকে ১২ জন খদ্দেরের সাথে কাজ করেন।
ppp_3
পতিতালয়ে পানি সংগ্রহে ব্যস্ত যৌনকর্মীরা।
ppp_2
যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার আগে রোজিনা নামের এই মেয়েটি কাজ করতো টেক্সটাইলে।
pp
হরহামেশাই যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে দেখা যায় ৭ থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়েদের।
ppp
খদ্দেরের সাথে এক পতিতা।

 



মন্তব্য চালু নেই