বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিফিং

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষব্লগার হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নিহতের পরিবারকে সহায়তা দিতেএবং বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন ডেপুটি মুখপাত্র মার্ক সি. টোনার। তার কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আপনার অভিমত কি? আপনি কি উদ্বিগ্ন?

জবাবে মার্ক টোনার বলেন, অবশ্যই, গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। (ব্লগার হত্যায়) তদন্তে এফবিআই সহযোগিতা দিয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা দেখেছি সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো। এর নেপথ্যে আছে আল-কায়েদা। এসব হামলা ভয়াবহ। ব্রিফিংয়ের বাংলাদেশ অংশ এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো:

প্রশ্ন: গত সপ্তাহে বাংলাদেশে আরেকজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে।

উত্তর: ঠিক।

প্রশ্ন: তারপরে, কেউ একজন পোস্ট দিয়েছে যে, বাংলাদেশের ভিতরে যেসব ব্লগার হুমকির মুখে আছেন তাদেরকে মানবিক কারণে ভিসা ইস্যু করছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা কি আপনি ভেরিফাই বা নিশ্চিত করতে পারেন? যারা এরকম ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তাদের সংখ্যা কত?

উত্তর: হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা ব্লগার বা ছাত্র অ্যাক্টিভিস্টের ওপর এমন ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানাই। এটা উদ্বেগজনক একটি ঘটনা। এর আগেও আমরা এমন ঘটনা দেখেছি। আমি শুক্রবার উল্লেখ করেছি এমন একটি বিষয়ে আপনি কথা বলছেন।

যারা এমন অত্যাসন্ন বিপদের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে তাদের পরিস্থিতি বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারেন, যেটাকে আমরা মানবিক প্যারোল বলে থাকি। আমি আপনাকে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে খোঁজ নিতে বলতে পারি যে, এমন কোনো আবেদন তাদের বিবেচনায় আছে কিনা।

প্রশ্ন: কত মানুষ আবেদন করেছেন এটা কি আপনার জানা আছে?

উত্তর: না।

প্রশ্ন: আর এসব হত্যাকাণ্ডগুলোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি? এখন পর্যন্ত এমন ৭টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আপনি কি উদ্বিগ্ন নাকি…

উত্তর: এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা বাংলাদেশি সরকারকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছি। তদন্তে সহযোগিতা ও এফবিআই এর সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছি। সবথেকে সাম্প্রতিক এই হত্যাকাণ্ডের পর আমরা রিপোর্ট দেখেছি যেখানে বলা হয়েছে যে, আল-কায়েদা এর পেছনে ছিল।

এগুলো ভয়াবহ হামলা। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে এটা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে আহ্বান জানাই এসব হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারগুলোকে সাহায্য দেয়ার জন্য। সূত্র: মানবজমিন।



মন্তব্য চালু নেই