বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুখবরের পূর্বাভাস
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সুখবরের পূর্বাভাস দিয়েছে সিএনএন। কোন পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি- ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার একটি পূর্বাভাস দিয়েছে সিএনএন মানি। সাইটটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাময়ী দেশের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সিএনএন মানির হিসাব মতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দ্বিতীয়। আর ৯.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ইরাক হবে প্রথম। প্রবৃদ্ধি অর্জনে তৃতীয় অবস্থানে থাকবে ভারত, যার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ।
সিএনএন মানি সম্প্রতি একটি টাইমলাইন প্রকাশ করে। এতে ২০১৯ সাল নাগাদ যেসব দেশের অর্থনীতি ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, সেসব দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থনীতির আকার ও প্রবৃদ্ধি এই দুই ভাগে বিভক্ত করে টাইমলাইনটি তৈরি করা হয়েছে।
টাইমলাইনের প্রবৃদ্ধি বিভাগে ২০০২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে। এতে দেখান হয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.১ শতাংশ।
২০১৯ সাল নাগাদ যেসব দেশের অর্থনীতি আকার সবচেয়ে বেশি হবে (হিসাব ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে)
পরের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে তা কমে ৫.৮ শতাংশে নেম আসে। ২০১৪ সালে প্রবৃদ্ধি আবার ঘুরে দাঁড়ায়। এই সালে প্রবৃদ্ধি হয় ৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি দেখান হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ।
আর এর পরেই ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে পৌঁছাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সিএনএন মানি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকবে বাংলাদেশে।
অর্থনীতির আকারের দিক থেকে সবচেয়ে শীর্ষে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর চীন। এখনো তাই আছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি দাঁড়াবে ২২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের। চীনের হবে ১৪.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি।
অর্থনীতির আকারে এরপর থাকবে জাপান ৫.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, ভারত ৩.১ ট্রিলিয়ন ডলার, ব্রাজিল ২.৯ ট্রিলিয়ন ডলার, ইতালি ২.৬ ট্রিলিয়ন ডলার এবং রাশিয়া ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
মন্তব্য চালু নেই