বস্তি থেকে উঠে আসা অন্যরকম এক রাজা

বাস্তিয়ানা ইয়োত্তা (৩৮)। এমনিতেই গরীব, একবেলা খাবার জুটলে আর একবেলা জুটেনা। তার মধ্যে আবার মুটকু। তাহলে কোন মেয়াটা তার দিকে তাকাবে বলো? কিন্তু না এই জীবন নিয়ে তো আর বাঁচা যায়না, পরিবর্তন করতেই হবে সেটা যেভাবেই হোক। যে ভাবা সেই কাজ শুরু করলো জীবন পরিবর্তনের কাজ। যেমন পরিশ্রম তেমনি অধ্যাবাসায়, যা স্বপ্নের মত সাজালো ইয়োত্তার জীবন। হলো স্লিম, একদম হলিউডের নায়কদের মত। ঘরে আসলো কাড়ি কাড়ি টাকা।

এ কোনও সিনেমার চরিত্র নয়। তবে বাস্তিয়ান ইয়োত্তার কাহিনি স্লামডগ মিলিওনেয়ারের মতো ছবির চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। রক্তমাংসের মানুষ বাস্তিয়ান। জার্মানির মিউনিখের অধিবাসী। বেওয়াচ টেলিভিশন শো তার বরাবরই প্রিয় ছিল। “এখন আমি আমার নিজের বেওয়াচ তৈরি করেছি। আমার সঙ্গে যে মেয়েরা আছেন তারা প্যামেলা অ্যান্ডারসনের থেকেও হট। ” জানিয়েছেন বাস্তিয়ান।

ইয়োত্তা এখন একজন এন্টারপ্রেনার। বেশ কিছু বিউটি ও সফটওয়্যার কম্পানির মালিক তিনি। তিনি এখন মহিলাদের বিজনেস দাঁড় করাতে সাহায্য করেন। সেইসঙ্গে লাইফস্টাইল কীভাবে উন্নতি করতে হয়, সেই কোচিংও দেন তিনি। তাঁর বিজনেস মন্ত্র হল, “অন্যরা তোমার সম্পর্কে কী ভাবছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তুমি নিজে কী ভাবছ, সেটাই বড় কথা।”

তার স্ত্রী মারিয়ার বয়স ২৭ বছর। ইনস্টাগ্রামে এখন স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। অনেকসময় তিনি দামি পোশাক পরে পোজ দেন। সেই ছবি পোস্ট করেন সোশাল অ্যাকাউন্টে।

সূত্র: নেক্সট সর্ক।



মন্তব্য চালু নেই