বসন্তের নির্মল সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টির শীতল পরশ
২৬ ফাল্গুনের এই দিনটার শুরু বেশ উত্তপ্ত ছিল। সূর্যের তেজও ছিল আজ, ছিল কিছুটা গুমোট ভাব। উত্তপ্ত দিনের শেষে ঢাকাবাসীর প্রাণ জুড়ালো যেন বৃষ্টির শীতল পরশে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরপরই দেখা মেলে বৃষ্টির। এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসার, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দুরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর পুন: ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
শুধু ঢাকা নয় রাজশাহীতেও হয়েছে বৃষ্টি। রাজশাহী প্রতিনিধি বিপ্লব হাসান জানিয়েছেন, গেলো এক সপ্তাহ থেকে রাজশাহীর আকাশে মেঘের আনাগোনা। কিন্ত তার দেখা মেলাভার হয়ে উঠছিল। গরমের তেমন প্রভাব না থাকলেও সকলের প্রত্যাশা এক পশলার বৃষ্টির। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরলো শুক্রবার সন্ধ্যায়। ফাগুনের শেষের দিকে হঠাৎ করেই বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ঘণ্টা খানিকের বৃষ্টি যেন আবার শীতের আমেজ ফিরিয়ে দিতে চায়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে, এ মৌসুমের এটাই প্রথম বৃষ্টি। প্রায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশ এখনও মেঘলা থাকার কারণে বৃষ্টিপাতের আশা প্রকাশ করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ বৃষ্টিপাতে উঠতি আলু, মশুর, ভুট্টা ও রবিশষ্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সকাল থেকেই রাজশাহীর আকাশ সাদা-কালো মেঘের খেলা ছিল। বিকেল থেকেই তা ক্রমশই ঘনমেঘে পরিনত হয়ে অন্ধকার নেমে আসে। বিকেল ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ বৃষ্টিপাত চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। সাথে হালকা ঝড়ো বাতাস থেকে এক সময় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে থাকে। এতে নগরজীবনের স্বাভাবিক কাজকর্মে ছন্দপতন ঘটে।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, পৌনে ৬টার দিক থেকে প্রায় ৬ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড় হয়েছে। প্রায় ২২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছিলো। এটি এ মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত ও ঝড়োহাওয়া বলে জানান তিনি।
রাজশাহীর পবা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মঞ্জুরে মওলা জানান, এ বৃষ্টিপাতে মাঠের উঠতি আলুসহ রবিশষ্যের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া আমের মুকুল ঝরে ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই