বলিউডের সেরা ৫ ভিলেন!

সময়ের সঙ্গে বলিউড সিনেমায় বদলেছে গল্পের ধরণ। বদলেছে অভিনয়ের ক্ষেত্র। উপমহাদেশের সিনেমায় খলনায়কের চরিত্র যেন অপরিহার্য এবং দর্শকের মজ্জাগত হয়ে গেছে। তাই সিনেমায় খলনায়কের অবস্থান থাকাটা তাই অনেকটা অনিবার্য।

আবার অনেক অভিনেতা নিজেকে প্রমানের খাতিরে কখনো খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যেমন- শাহরুখ খানকে দেখা যায়- ‘বাজিগর’ সিনেমায়। তবে ১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে অনেক অভিনেতা-ই দিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়। এদের মধ্যে যারা দর্শকের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন এমন পাঁচ খলনায়ককে নিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন।

আমরিশ পুরি : সাবলীল কণ্ঠ আর সুন্দর উপস্থাপনার যোগ্যতা এবং খলনায়কের অভিনয়ে নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া অভিনেতা হলেন আমরিশ পুরি। আমরিশ অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘প্রেম পুজারি’ মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে। প্রথম সিনেমাতেই অভিনয়ে নিজের বিশেষত্ব তুলে ধরায় খুব অল্পতেই সুনাম অর্জন করেন তিনি।

ওই বছরই মুক্তি পায় তার দ্বিতীয় সিনেমা ‘কোর্ট চালু আহে’। সেই সময় থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আমরিশ প্রায় ৪০০টির অধিক সিনেমায় অভিনয় করে বলিউড সিনেমার ইতিহাসে আলাদা ধরনের রেকর্ড সৃষ্টি করেন। শুধু যে জীবদ্দশায় খলনায়ক চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তা নয়। পেয়েছেন অনেক মরণোত্তর সন্মাননাও। বর্তমানে দিল্লিতে আমরিশ পুরির নামে একটি ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা চলছে।

প্রেম চোপড়া : প্রেম চোপড়ার বলিউডে অভিষেক হয় ১৯৬০ সালে ‘হাম হিন্দুস্তানি’ সিনেমার মাধ্যমে। উপস্থাপন শৈলী এবং সুন্দর চেহারা ও অভিনয় দক্ষতার কারনে হয়তো কখনই বলিউডের ইতিহাস থেকে তার নাম মোছার নয়।

এ পর্যন্ত টানা ৫০ বছর ৩২০ টির অধিক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। হিন্দি এবং পাঞ্জাবি দুই ভাষার সিনেমাতেই দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দর্শকের মনে স্থায়ী অবস্থান করে নিয়েছেন। ৮০ বছর বয়সী এই অভিনেতা এখন পর্যন্ত সুযোগ পেলেই সিনেমাতে কাজ করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে প্রেম চোপড়া অভিনীত ‘ওদ্যানসো’ সিনেমাটি।

শক্তি কাপুর : খলনায়কের চরিত্রে শক্তি কাপুর হলেন জাত অভিনেতা। প্রায় ১০০ সিনেমায় অভিনয় করে সে প্রমাণ দিয়েছেন তিনি । তবে শুধু খলনায়কের চরিত্রেই না। কমেডিয়ান হিসেবেও দেখেছেন সাফল্যের মুখ। ১৯৯৫ সালে পেয়েছেন সেরা কমিডিয়ানের পুরস্কার। তবে সবকিছু ছাপিয়ে শক্তি কাপুর বর্তমানে বলিউডের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত খলনায়ক। ১৯৭৬ সালে ‘সংগ্রাম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আনুষ্ঠানিক যাত্রা হওয়া ৫৭ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইশক কা মানজান’ সিনেমায়।

অনুপম খেড় : অভিনয়ে ২০১৪ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ এবং ২০১৬ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে এরই মধ্যে নিজেকে অন্য অবস্থানে নিয়ে গিয়েছেন অনুপম খেড়। তবে শুধু যে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা নয়, এছাড়াও বলিউডের সিনেমায় একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

বলিউডে অনুপমের প্রথম অভিষেক হয় ১৯৭১ সালে ‘টাইগার সিক্সটিন’ নামক সিনেমায় প্রেম চরিত্রে। এ পর্যন্ত তিনি শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সারেনশ’ ৮৬র কারমা, ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কাহো না পেয়ার হে’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ জারি করেছেন তিনি।

নাসিরুদ্দিন শাহ্‌ : তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং তিনবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও অভিনয়ে নিজেকে স্বতন্ত্রভাবে মেলে ধরার কারনে একাধিক পুরস্কার জিতেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ্‌। সরফরাস, মোহরা, ডার্টি পিকচার প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি বিখ্যাত। নাসিরুদ্দিন শাহ্‌ বলিউডে প্রথম পা রাখেন ‘নিশান্ত’ সিনেমার মাধ্যমে। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। নাসিরুদ্দিন অভিনীত ‘তেরা সুরুর’ এবং ‘জিওন হাথি’ সিনেমা দুটি চলতি বছর মুক্তি পাবে। ৬৫ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি সিনেমায় দেখা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই