বর্ষবরণের আনন্দযজ্ঞে যানজটের বাগড়া

বর্ষবরণে আনন্দযজ্ঞ নির্বিঘ্ন রাখতে রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি।

ডাইভারশনের কারণে এক সড়ক দিয়ে অধিকাংশ রুটের যানবাহন চলাচল করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে কিছু সড়কে।

মিরপুর থেকে আসা যানবাহনগুলো ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে পারলেও থমকে যাচ্ছে কারওয়ান বাজারে এসে। সেখানে তীব্র যানজট দেখা গেছে সকাল ১০টার দিকে। কারওয়ান বাজার মোড় থেকে বাসগুলোকে ঘুরে যেতে হচ্ছে সোনারগাঁও হোটেলের সামনের রাস্তা দিয়ে।

সোনারগাঁও হোটেলের সামনে দিয়ে যানবাহনগুলোকে হাতিরঝিলের পাশ দিয় মগবাজার মোড়, কাকরাইল মোড় হয়ে গুলিস্তান, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী যেতে হচ্ছে।

সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা যত বেড়েছে যানজটের তীব্রতাও তত বেড়েছে।

রমনা পার্ক কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় যারা যাচ্ছেন তাদের সবাইকেই বেশ খানিকটা পথ হেঁটে যেতে চাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার যুক্ত গাড়ি ব্যাতীত সব যানবাহন প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।

কারওয়ান বাজার মোড়ে যানজটে আটকা পড়া আশিক নামে এক যাত্রী জানান, ব্যবসার কাজে তিনি যাবেন যাত্রাবাড়ী। কিন্তু তীব্র যানজটে আটকা পড়েছেন কারওয়ান বাজার মোড়ে।

সাইদুর রহমান নামে আরেক যাত্রী জানান, পল্টন যাবেন একটি হাসপাতালে। কিন্তু তেজগাঁওয়ে যানজটে ঘণ্টা পার। যানবাহনের চলার গতি কম থাকায় বাধ্য হয়ে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা দেন তিনি।

অন্যদিকে নিউমার্কেট ও এলিফেন্ট রোড এলাকায় তীব্র যানজটে আটকা বাস যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ বলছে রাস্তায় নাকি ডাইভারশন চলছে। যে কারণে যানবাহন চলাচল গতিহীন। তীব্র গরম আর যানজট মিলে মেজাজটা খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু বলার নাই।

ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট এড়ানো এবং সম্মানিত জনসাধারণের যাতায়াতকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নগরবাসী, যানবাহন মালিক ও শ্রমিকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধা হলেও নববর্ষকে আমরা নির্বিঘ্ন করতে চাই।

অন্যদিকে বাড্ডা এলাকা থেকে সন্তানকে নিয়ে বাবা সুবোধ গিয়েছিলেন রমনার বটমূলে। বাসে চড়ে মালিবাগ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন তারা। এরপর যানজটের কারণে হেঁটে পল্টন হয়ে কাকরাইল মসজিদের পাশ দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করেন তারা।

সুবোধ বারৈ বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ় হলেও যাতায়াত ব্যবস্থাপনা ভোগান্তিকর।

স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শান্তিনগর থেকে পায়ে হেঁটে রমনায় এসেছেন ফজলুল হক। তিনি বলেন, পথে যানবাহন বলতে কোনো কিছুই চলছে না। এরমধ্যে আবার পথে ৪ স্থানে চেকপোস্ট। সবমিলে গরমে কাহিল অবস্থা।



মন্তব্য চালু নেই