বর্ণিল রূপে সাগরকন্যার প্রথম কার্নিভাল
প্রথম কার্নিভালে বর্ণিল সাজে সেজেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। নানা রঙের আলোর ঝলকানি ও সুরের মূর্ছনায় উৎসবমুখর পরিবেশে পার হয়েছে কার্নিভালের প্রথম দিন।
নতুন এই রূপ হাজারো ভ্রমণ পিপাসুকে করেছে মুগ্ধ। বিচ কার্নিভালের প্রথম দিনে সন্ধ্যা নামতেই সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আলোর ঝলকানি। কার্নিভাল উপলক্ষে আলোকিত মঞ্চে বিভিন্ন শিল্পীর গান পরিবেশনসহ সবকিছু মিলিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করে। যেন বিশ্বদরবারে জানান দেয় সাগরন্যার আহ্বান।
এ ছাড়া রয়েছে একই স্থান থেকে সূর্য উদয় ও অস্তের দৃশ্য দেখার বিরল সুযোগ। পর্যটন মৌসুমে যে সুযোগ হাতছাড়া করেন না ভ্রমণ পিপাসুরা। এর ফলে কুয়াকাটা এলাকায় অতিরিক্ত ভিড় চোখে পড়েছে।
শনিবার সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে তিন দিনব্যাপী ওই বিচ কার্নিভালের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। যেখানে তিনি জানান, সাগরকন্যার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নেওয়া হয়েছে মাস্টারপ্ল্যান। যা বাস্তবায়ন করলে আগামী দুই বছরে সাগরকন্যার নতুন রূপ দেখা যাবে।
মুহিত বলেন, ‘আমি কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সবার আগে গুরুত্ব দিই। এ জন্য বিভিন্ন সুবিধাসহ অবকাঠামো উন্নয়নে বেসরকারি খাতগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আশা করছি আগামী দুই বছরে মধ্যে দেশের সম্ভাবনাময় এ পর্যটন এলাকার দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে পাবেন।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন কুয়াকাটায় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলেন। তিনি বলেন, পর্যটন খাত আয়বর্ধনকারী খাত। কুয়াকাটায় যে হারে পর্যটনের বিস্তার হয়েছে তাতে এখানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ভবিষ্যতে কুয়াকাটার ফতরার চর হয়ে সুন্দরবন পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হবে। সুতরাং পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দর চালু হলে এ অঞ্চলে পর্যটনশিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।
চিরকুট ব্যান্ডসহ বিভিন্ন শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। যেখানে ৬ থেকে ৭ হাজার লোকসমাগম হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো কুয়াকাটাই ছিল লোকে লোকারণ্য। স্থানীয় প্রশাসনকে সবকিছু সামাল দিতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয়।
বিচ কার্নিভাল চলবে আরো দুদিন। যেখানে থাকবে আরো নতুন আয়োজন। উৎসবমুখর পরিবেশে অনেকটা মেলার পরিবেশ বিরাজ করছে।
ঢাকা থেকে ১২ জনের একটি দল গাড়িযোগে এসেছে কার্নিভাল অনুষ্ঠান দেখতে। সেই দলের একজন হায়দার হোসেন বলেন, ‘আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল কুয়াকাটা আসব। বিচ কার্নিভালের কথা জানার পর আজই কুয়াকাটায় উপস্থিত হই। অনেক ঠান্ডা লাগলেও বেশ ভালো লাগছে।’
মন্তব্য চালু নেই