বরিশাল মেডিকেলের হোস্টেলে অস্ত্রের ঝনঝনানি ॥ দায়িত্ব নিলেন অধ্যক্ষ

বরিশাল প্রতিনিধি : শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের মধ্যে অস্ত্র, লাঠিসোঠা রয়েছে বলে ধারনা করেন মহানগর পুলিশ। এ জন্য মঙ্গলবার দিবাগত রাত দশটার দিকে প্রায় দু’শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনার জন্য সেখানে যান। তিনটি হোস্টেলই ঘিরে ফেলেন তারা। কিন্তু অনুমতি মেলেনি কলেজ অধ্যক্ষ ভাস্কর সাহার। তিনি পুলিশের কাছ থেকে একদিনের সময় নিয়েছেন।

পুলিশের দাবি, যদি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে তার দায়ভার নিতে হবে অধ্যক্ষকে। ভাস্কর সাহা দায়ভার মাথায় নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কোতয়ালী থানার ওসি শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন, মেডিক্যালের জামিলুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও মাইনুল হায়দার ছাত্র হোস্টেলে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা মজুদ থাকার প্রাথমিক সন্দেহে হোস্টেলগুলোতে তল্লাশীর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু অধ্যক্ষ ভাস্কর সাহা অনুমতি দেননি। তিনি (অধ্যক্ষ) আমাদের কাছ থেকে একদিনের সময় নিয়েছেন। কলেজ অধ্যক্ষ ভাস্কর সাহা বলেন, আমি একদিনের সময় নিয়েছি। এরমধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সূত্রমতে, যুব রেড ক্রিসেন্ট শেবাচিম ইউনিটের কমিটি গঠণকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’গ্রুপের সমর্থকদের কমিটি অনুমোদনের জন্য আলাদা দুটি কমিটি জমা দেয়ার পর একটি কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। অপর গ্রুপ থেকে পাল্টা কমিটি ঘোষণা দেয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরবর্তীতে কমিটি গঠণকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই সেখানে সশস্ত্র মহড়া অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সমর্থকেরা। ঘটছে হোস্টেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। তিনটি হোস্টেলেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছাত্রলীগের উভয় বিবদমান দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের ধারনা এনিয়ে যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতেই মঙ্গলবার রাতে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিলো।



মন্তব্য চালু নেই