বয়ঃসন্ধিকালে মস্তিষ্কে কী ঘটে জেনে নিন

বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন যেমন হয়, তেমনি মস্তিষ্কেও চলে ভাঙা-গড়ার কাজ৷ আর সেদিকেই মা-বাবা, শিক্ষক এবং বড়দের বিশেষভাবে নজর রাখা উচিত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷

মাথায় যা ঘটে
কিশোর-কিশোরীরা কথায় কথায় মেজাজ দেখাচ্ছে, অথবা কেউ ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে রাখছে৷ কেউ চুলে রং করছে বা অসম্ভব জোরে গান শুনছে৷ তার ওপর পড়াশোনায় মনোযোগ একেবারেই নেই! মাথায় যেন তাদের একটাই প্রশ্ন – ‘‘আমার বয়সি, আমার বন্ধুরা কী করছে?’’ এই অনুভূতিকে আয়ত্বে আনা টিন-এজারদের নিজেদের জন্যও কিন্তু খুব কঠিন৷ জানান জার্মনির শিশু-কিশোর বিশেষজ্ঞ ও মনশ্চিকিৎসক রমুয়াল্ড ব্রুনার৷

ভিন্ন আচরণ
টিন-এজাররা গাড়ি চালানোর সময় বড় কেউ পাশে থাকলে স্বাভাবিকভাবে, অর্থাৎ ‘নরমাল’ গতিতেই গাড়ি চালায়৷ তবে সমবয়সিদের সঙ্গে নিয়ে ড্রাইভ করার সময় ওদের আচরণ একেবারে পাল্টে যায় বা ঝুঁকিপূর্ণ কিছু করার আগ্রহ বেড়ে যায়৷ দীর্ঘ দিন ধরে করা এক গবেষণায় জানা গেছে এই তথ্য৷

অপরাধমূলক কাজ
বয়ঃসন্ধিকালে কেউ ধূমপানে আগ্রহী হয়, কেউ আবার মাদকের মতো নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ে৷ শুধু তাই নয়, কেউ কেউ জড়িয়ে যায় অপরাধমূলক কোনও কাজের সঙ্গে৷ তাই সন্তানের আচরণ অস্বাভবিক মনে হলে ‘বয়সের দোষ’ না ভেবে বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

ঝুঁকিপূর্ণ কাজেই বেশি আগ্রহী
বয়ঃসন্ধিকালে মস্তিষ্ক গঠনে ওলট-পালটের কারণে কিশোর-কিশোরীরা নানা ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দিকে এগিয়ে যায়৷ আসলে ভবিষ্যতের চিন্তা না করে দ্রুত ফলাফল দেখতে চায়৷ যতদিন ওদের মস্তিকের গঠন পুরোপুরি না হয়, ততদিন পর্যন্ত এদের কাছে বাস্তবতার চেয়ে আবেগই হয়ে ওঠে বড়৷ কারো কারো ক্ষেত্রে তো মস্তিষ্কের গঠন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতো হতে ২৪ বছর লেগে যায়৷ জানান স্নায়ুমনোবিজ্ঞানী ক্যার্স্টিন কনরাড৷

আধুনিক যুগের মা-বাবা
আজকের যুগে চাকরিজীবী মা-বাবা তাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে সন্তানের অনেক সাধই মেটাতে সক্ষম হন৷ অন্যদিকে ব্যস্ততার কারণে আদরের সন্তানটিকে সময় দিতে পারেন না তাঁরা৷ অথচ বয়ঃসন্ধিকালেই কিন্তু বাবা-মাকে সন্তানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন৷



মন্তব্য চালু নেই