বন্ধ হয়ে যেতে পারে আইপিএল!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ এর পর এবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত আইপিএল। দু’দিন আগেই গড়াপেটা কেলেঙ্কারির জেরে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড হতে হয়েছে আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে। যা বড় প্রশ্নের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে আইপিএলের ভবিষ্যৎকে।

এদিকে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তি হয়েছে ৮টি দলের জন্য মোট ৬০ ম্যাচ। ফলে যে করেই হোক আগামী বছরের আগে নতুন দু’টি দল জোগাড় করতেই হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। আর তা না হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আইপিএল।

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরএম লোধার নির্দেশ অনুযায়ী ক্রিকেটকে কলুষিত করার জন্য আজীবন নির্বাসিত করা হয় চেন্নাই সুপার কিংসের ‘টিম প্রিন্সিপাল’ গুরুনাথ মাইয়াপ্পন ও রাজস্থান রয়্যালস দলের মালিক রাজ কুন্দ্রাকে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে যখন দু’টি বড় দল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড ঘোষণা করা হয়।

সুপ্রিমকোর্টের আদেশের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের স্ট্যান্ড কি হবে তা নিয়ে যখন চারিদিকে আলোচনা শুরু হয়, তখনই বোর্ড সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে বিসিসিআই। এরপরই বিসিসিআই নীতি নির্ধারকরা আইপিএলের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে বৈঠকে বসেন। আগামী রোববারও আবার বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাদের।

যদিও বিসিসিআই কর্মকর্তা রাজীব শুক্লা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আটটি দল নিয়েই আইপিএল অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর।

কিন্তু বাকি দু’টি দলকে কোথা থেকে জোগাড় করবে আইপিএল কমিটি, তা নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় কর্মকর্তারা। এদিকে অতীতে আইপিএল থেকে বহিষ্কৃত দু’টি দল কেরালা টাস্কার্স ও পুনে ওয়ারিয়র্সকে নতুন করে ফেরানো যাবে না। অন্যদিকে চেন্নাই ও রাজস্থান দলকে বাদ দিয়ে নতুন কোনো দলকে নিলেও সমস্যা আরো বাড়বে বই কমবে না। কারণ এখন নতুন দু’টি দল নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হলেও দু’বছর পর যখন চেন্নাই ও রাজস্থানের সাসপেনশন শেষ হয়ে যাবে তখন এদেরকেও দলের তালিকায় শামিল করতে হবে। তখন দলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১০-এ। অথচ ৮টির বেশি দল নিয়ে আইপিএল চালানোও কার্যত অসম্ভব।

বিসিসিআই সূত্রে খবর, চেন্নাই ও রাজস্থান দল দু’টিকে নিজের দায়িত্বে নিয়ে খেলাতে পারে বিসিসিআই। এক্ষেত্রে যেহেতু আইপিএলের দায়িত্বই ভারতীয় বোর্ডের হাতে রয়েছে সেহেতু ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা আইনি জটিলতার সম্ভাবনা খুব একটা নেই বললেই চলে। তবে গোটা বিষয়টাকেই প্রকাশ্যে আনার আগে নিজেদের মধ্যে এবং আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। সবদিক ঠিক থাকলে একমাত্র এভাবেই বাঁচতে পারে আইপিএল। অন্যথায় বন্ধই রাখতে হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে গ্ল্যামারাস লিগ আইপিএল।



মন্তব্য চালু নেই