বন্ধ হওয়া ঠেকাতে কী করছে সিটিসেল?

বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিটিসেলের গ্রাহকদের এক সপ্তাহের মধ্যে অন্য কোনো কোম্পানির সেবা নিতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা ও মালিক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান।

এখন সিটিসেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন তারা সরকারকে জানিয়েছেন, তারা চান বর্তমান শেয়ার হোল্ডার ও ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদায় নেবে।

এজন্য নতুন একজন বিনিয়োগকারীর সাথে সমঝোতাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তারা সরকারকে তাদের সব সমস্যা বুঝিয়ে বলেছেন।

ওদিকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, নতুন করে দেয়া সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পর তারা কোম্পানিটির বরাদ্দকৃত

স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ বন্ধ করে দেবেন।

তারই অংশ হিসেবে টিসেলের সাত লাখের মতো গ্রাহককে এক সপ্তাহের মধ্যে অন্য কোনো কোম্পানির সেবা নিতে বলা হয়েছে।

বিটিআরসি বলছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মেহবুব চৌধুরী বলেছেন, ‘কিছু সমস্যা হয়েছে ফ্রিকোয়েন্সি পুরোপুরি না পাওয়া কারণে। আশা করি সরকার আমাদের কথা বিবেচনা নেবেন। সিটিসেলকে বন্ধ করে কারো কোনো লাভ হবে না।’

মেহবুব বলেছেন বিটিআরসি ও মন্ত্রণালয় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি সহৃদয়ে তারা (কর্তৃপক্ষ) দেখবেন এবং আমাদের কিছুটা সময় দেবেন।’

সিটিসেলের বন্ধ হওয়া ঠেকাতে নতুন করে বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনার কোনো পরিকল্পনা সিটিসেলের আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তারা সেটাই সরকারকে জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, নতুন বিনিয়োগকারীরা আসছেন। আমরা চাচ্ছি বর্তমান শেয়ার হোল্ডার ও ম্যানেজমেন্ট বিদায় নেবে এবং নতুনদের হাতে একে আমরা তুলে দিতে চাই।’

নতুন একজনের সাথে আলোচনাও হয়েছে এবং একটি সমঝোতা স্মারকও হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিটিসেলের মালিকদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির একজন নেতা, বন্ধের ক্ষেত্রে তার কোনো প্রভাব পড়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি এমন সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।

আর শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়েই গেলে কর্মীরা নিমানুযায়ী তাদের সব প্রাপ্য পাবেন বলে জানান মেহবুব চৌধুরী। -বিবিসি



মন্তব্য চালু নেই