আতঙ্কে জনজীবন, নিরব প্রশাসন

বনের হাতি নিয়ে রাউজানে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বনের হাতি দিয়ে হাটবাজার থেকে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা। জানা যায়, গত ১৭ জুন বুধবার দুপুর ১২ টায় রাউজান উপজেলার গহিরা চৌমুহনী এলাকায় হাতি নিয়ে এক অপরিচিত ব্যক্তি হাতির পিটে ছড়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, দোকানপাট, ছোট-বড় যানবাহন থেকে চাঁদা নিচ্ছে বলে স্থানীয়রা দাবী করে।

তারা আরো বলেন, দোকানপাট ও ছোট-বড় যানবাহন থেকে হাতির সুরাতা ঠেকিয়ে ১০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। এটুকুতে শেষ নয়, প্রতিটি দোকান, যানবাহন থেকে যদি ৫ টাকা দে, তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হয়না, পরে ১০ টাকা ছাড়া দোকান বা যানবাহনকে ছাড় দেওয়া হয়না, আতংঙ্কে বা ভয়ে তারা ১০ টাকা দিতে শেষমেষ বাধ্য হয়। হাতিকে ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের সময় চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে দীর্ঘ যানযট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহিদ ও চালক হেলাল জানান, বনের হাতিকে ব্যবহার করে প্রতিটি দোকান ও যানবাহন থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হাতির উপরে থাকা ব্যক্তির হাতের ও পায়ের ইসারাতে দোকান ও যানবাহনের সামনে গিয়ে দাড়ায়, পরে উপরে থাকা ব্যক্তি হাতির মাথার উপর হাত দিলে সুরাতাটি দোকান বা যানবাহনের দিকে লম্বা করে কৌশনে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা আদায় কালে ৫ টাকা গ্রহণ হয়না ১০ টাকা অধিক গ্রহণ করে হাতি।

তিনি আরো বলেন, হাতিকে পাঁচ টাকা না নেওয়ার জন্য পা দিয়ে উপরোক্ত ব্যক্তি ধাক্কা দিলে সুরাতা উপরে তুলে হাতিটি উচ্চ আওয়াজে শব্দ করতে থাকে।

সেই সময় এলাকাবাসী ও যানবাহন থাকা ব্যক্তি আতংঙ্কে বা ভয়ে পাঁচ টাকা বিপরীতে দশ টাকা দিতে বাধ্য হয়। পরে আদায়কৃত টাকা ব্যক্তির হাতে নেওয়া জন্য হাতির কানে হাত দিলে হাতি সুরাতাটি উপরে করে টাকা দিয়ে দেয় বলে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়দের অভিযোগ সত্য ও হাতিকে ব্যবহার করে কিছু অর্থলোভী ব্যক্তি জনমনে আতংঙ্ক সৃষ্টি করে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। হাতির পিঠে থাকা ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাস করলে প্রথমে নাম প্রকাশ করতে নারাজ।

পরে এলাকাবাসীর তোফের মুখে পড়ে হাতির পিঠে থাকা ব্যক্তি বলেন, আমার নাম মফজল আলী, বাড়ী হাতিয়া, এভাবে দৈনিক পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা আয় করি এবং আমাদের একটি বড় সেন্টিকেট আছে বলে দ্রুত পালিয়ে যায়।

তবে পার্শ্ববর্তী তিন উপজেলায় খবর নিয়ে দেখা যায়, কোন উপজেলাতে মেলা বা সার্কাস হচ্ছে না বলে জানান। এভাবে হাতিকে ব্যবহার করে প্রকাশ্যে জনজীবনে আতংঙ্ক সৃষ্টি করে চাঁদা আদায়কালে প্রশাসনের কোন ভূমিকা না থাকলে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে জনজীবনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেবে এবং যে কোন সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে মনে করে সচেতন ও বিজ্ঞমহন।

তারা দ্রুত প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করে। পরে পৌর মেয়রকে ফোন যোগাযোগ করলে মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই