“বনভন্তে” পালি স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু

পরম পূজ্য বনভন্তের স্মৃতিধন্য “বনভন্তে” পালি স্কুল এন্ড কলেজের যাত্রা শুরু করেছে। শুক্রবার রাঙামাটি রাজবন বিহার এলাকায় নব নির্মিত ভবনে পালি কলেজের উদ্বোধন করেন বনভন্তের শীর্ষ সংঘের প্রধান ও রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সাবেক পার্বত্য উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপাসক উপাসিকা পরিষদের অন্যতম সদস্য গৌতম দেওয়ান ও নিরূপা দেওয়ান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বনভন্তে পালি স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কাজ করছে।

এর আগে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্ট পরিস্কার দান সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ধর্মীয় দেশনায় বনভন্তের শীর্ষ সংঘের প্রধান ও রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির বলেন, বনভন্তের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। হয়তো আমরা অনেক বড় কষ্ট নিয়ে এই পালি কলেজ শুরু করলেও আমাদের ধর্মীয় গুরু আমাদের মাঝে সব সময় আছেন এটা আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, বনভন্তে যদি আজ থাকতেন তাহলে অনেক খুশি হতেন। তিনি বলেন, এই কলেজ থেকে একদিন হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করবে। বনভন্তের নাম আরো বেশী ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, বনভন্তের নামে পালি স্কুল এন্ড কলেজ করতে পেরে আজ নিজেকে খুব বড় মনে হচ্ছে। শ্রদ্ধেয় বনভন্তে আমাকে বলেছেন এই কলেজের কথা আমি তা করে দিয়েছি। যারা আওয়ামীলীগেকে দেখতে পারে না তাদের মধ্যে অনেকেই বলেছে হবে না হবে না। সরকার এই পালি কলেজ করবে না। সরকার মাদ্রাসা মত্তব করবে কিন্তু পালি কলেজ করে দেবে না। কিন্ত শেখ হাসিনা সরকার বনভন্তের কথা শুনে পালি কলেজ করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি পালি কলেজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। ২০১০ সালে শ্রদ্ধেয় বনভন্তেই এই পালি কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। আজ আমরা এই পালি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পেরে নিজের কাছে খুশী লাগছে।

তিনি বলেন, এই পালি কলেজ শেষ করতে আরো যত টাকা লাগে তা করা হবে। তিনি বলেন, আমি এমপি না থাকলেও আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। আমি উপরে লেবেলে কথা বলবো। যাতে এই পালি কলেজ স্বয়ং সম্পূর্ণ ভাবে রূপ নিতে পারে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, পালি কলেজ আসার যে রাস্তাটি রয়েছে সেই রাস্তায় একটি ব্রীজের প্রয়োজন রয়েছে। এই ব্রীজ করতে দেড় কোটি টাকার ও বেশী খরচ হবে। এই টাকাও যাতে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা আমার পক্ষ থেকে করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠান শেষে বনভন্তের দেশনা কেসেটে বাজিয়ে শোনানো হয়।

পরে বনভন্তের শীর্ষ সংঘের প্রধান ও রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ফিতা কেটে বনভন্তে পালি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং কলেজের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন।



মন্তব্য চালু নেই