বজ্রপাতে চার জেলায় নিহত ৪
বজ্রপাতে পঞ্চম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী, এক নারী এবং এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে একজন। শনিবার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, গাজীপুরের শ্রীপুর এবং যশোর সদরে এসব ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বজ্রপাতে মো. নোমান (১১) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরকলাকোপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নোমান ওই এলাকার আবুল বাসারের ছেলে। সে পশ্চিম চরকলাকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয় চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুস সহিদ জানান, বিকেল ৫টার দিকে ঝড়-বৃষ্টির সময় নোমান বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে গরু আনতে যায়। এ সময় গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে একটি গরুসহ নোমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বজ্রপাতে সঞ্জয় দাস (৩৩) নামে এক যুবক মারা গেছেন। তিনি উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের হায়দরাবাদ কলিমপুরের মৃত হাজোরাম দাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার বেলা ২টার দিকে সঞ্জয় বৃষ্টির মধ্যে নিজ বাড়ির আঙিনায় বিকল টিউবওয়েল সারানোর কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে বজ্রপাতে নাসিমা খাতুন (১২) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বাড়ির আঙিনায় গোসল করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। সে শ্রীপুরে পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে।
নাসিমা কেওয়া আকন্দবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
যশোর: যশোর সদরে শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে লাকি বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সালমা খাতুন (৪৫) নামে আরেক নারী।
লাকি সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের স্ত্রী। সালমা খাতুন আব্দুলপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
লাকি মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারাত্মক দগ্ধ হন। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামে বাড়ির বারান্দায় ছিলেন সালমা খাতুন। এ সময় বজ্রপাত ঘটলে তিনি দগ্ধ হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই