বছরে রেলের লোকসান ৮৭৯ কোটি টাকা
‘এক বছরে রেলের লোকসান ৮৭৯ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা’ বলে সংসদকে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী ‘২০১২-১৩ অর্থবছরে রেলের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬শ ৮৪ কোটি ৮৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা এবং আয় হয়েছে ৮শ ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।’
রোববার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের বিপরীতে তিনি এমন তথ্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন, এবং প্রশাসনিক ব্যয় বেড়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে সরকার পরিবহনের মতো ট্রেনের ভাড়া আনুপাতিক হারে বাড়ে না। ফলের ট্র্রেনের আয় তুলনামূলক কম হয়। সরকার মূলত পাবলিক সার্ভিস অবলিগিশন বিবেচনায় ট্রেন পরিচালনা করে থাকে। এতে লাভ লোকসানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
এম আব্দুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সরাদেশে রেলওয়ের ৩৩৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেনে মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার আসন আছে বলে সে পরিমাণ যাত্রী ধারণ করতে সক্ষম।’
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের (ঢাকা-৭) প্রশ্নের উত্তরে মুজিবুল হক বলেন, ‘রেলের আন্তঃনগর ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন সংরক্ষণ টিকিট ইস্যু হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন স্টেশনে টিকিট বরাদ্দ করা হয়। ট্রেনের অনিয়ম না হওয়ার জন্য আন্তঃনগর ট্রেনে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২৫ ভাগ টিকিট বিক্রি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। টিকিটের কালোবাজারি প্রতিরোধে বিভিন্ন স্টেশন প্লাটফর্ম ও আশেপাশে এলাকায় সার্বক্ষণিক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত আছে।’
মন্তব্য চালু নেই