বছরে কত ছবি বানায় হলিউড-বলিউড?

বিশ্বের কোন দেশ, কোন বছর, কতগুলো চলচ্চিত্র নির্মাণ করলো- তা নিয়ে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। আবার এ ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহও প্রায় অসম্ভব। তবে ২০১১ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ওই বছরে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে বলিউড। তাদের নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা এক হাজার ২৫৫টি।

এর ঠিক পরের অবস্থানেই আছে নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নলিউড। তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র ৯৯৭টি। তৃতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের হলিউড। ২০১১ সালে হলিউড নির্মাণ করেছে ৮১৮টি চলচ্চিত্র। মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সংগঠন ‘মোশন অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র (এমপিএএ) মতে, প্রতি বছরই চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা ওঠানামা করে। তবে গড়ে বছরে হলিউড প্রায় ৬০০ সিনেমা তৈরি করে থাকে।

তবে এর মধ্যে সব ধরনের সিনেমাই বিবেচনায় আনা হয় না। হলিউডের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রে অনেক তথ্যচিত্র নির্মিত হয় এবং অনেক স্বাধীন প্রতিষ্ঠানও চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। এমপিএএ’র হিসেব থেকে সেগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের তথ্য অনুসারে, হলিউডে ওই বছর নির্মিত হয়েছে ৫৫৯টি চলচ্চিত্র।

এর মধ্যে বাণিজ্যিক এবং স্বাধীন- দুই ধরনেরই চলচ্চিত্র রয়েছে। এই দুই ধরনের চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে আবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। তাই বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে হলিউড স্বীকৃত চলচ্চিত্র মুক্তি পায় বছরে ২২০ থেকে ২৫০টির মতো।

তবে ‘মানসম্মত’ চলচ্চিত্র নির্মাণে পিছিয়ে আছে যুক্তরাজ্য। দেশটির বৃহত্তম চলচ্চিত্র সংস্থা ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট (বিএফআই) এর আগে নিজেদের দেশে তৈরি সিনেমাকে ‘অদ্ভূত’ বলে সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, গত বছর সপ্তাহে ১৩টি করে চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়া সত্ত্বেও তা দর্শক আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৩ সালের পরিসখ্যান মতে, ওই বছরে ৬৯৮টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটেন, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৫১টি বেশি।

সব মিলিয়ে দেখা যায়, ভারতীয়রাই চলচ্চিত্র নির্মাণে সবচেয়ে এগিয়ে। এরপর নাইজেরিয়া এবং তারপর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। তবে গত ছয় বছরে এগিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও। এই সময়ের মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিমাণ ৮১ শতাংশ বাড়িয়েছে তারা। ২০০৭ থেকে ২০১৪- এই আট বছরে অবশ্য ১৮ শতাংশ কমেছে ব্রিটিশ চলচ্চিত্রের সংখ্যা।



মন্তব্য চালু নেই