বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারক কাজী গোলাম রসুলের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক সাহেদুল আলম জানান।বিভিন্ন স্বস্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে কাজী গোলাম রসুল গত ২৭ নভেম্বর থেকে এ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর ।১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার ২৩ বছর বছর ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর এই হত্যা মামলায় ২০ আসামির ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার তৎকালীন দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল।রায়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর দুটি রেজিমেন্টের অল্প সংখ্যক জুনিয়র সেনা অফিসার/সদস্য ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেন ওই কতিপয় সেনা সদস্যকে নিয়ন্ত্রণ/নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেনি তা বোধগম্য নয়। এ ঘটনা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে সেনাবাহিনীর জন্য একটি চিরস্থায়ী কলঙ্ক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”আসামিপক্ষের আপিলে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্ট এ মামলায় বিভক্ত রায় দেয়। বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। অন্য বিচারপতি এ বিএম খায়রুল হক ১৫ আসামির ফাঁসির আদেশই বহাল রাখেন।২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাই কোর্টের তৃতীয় বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেন।পাঁচ আসামি আপিল করলে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ তা খারিজ করে এবং পরের বছর ২৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

রায় কার্যকর হওয়ার পর এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক গোলাম রসুল বলেছিলেন, এখন থেকে আর কেউ এমন জঘন্যতম অপরাধ করার সাহস পাবে না।



মন্তব্য চালু নেই