বঙ্গবন্ধু মহাকবি হলে বাংলাদেশ মহাকাব্য

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের(বেরোবি) উপাচার্য বিশিষ্ট জনসংখ্যা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেছেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে অনেকে অনেকভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে যদি আমরা মহাকাব্য বলি তবে বঙ্গবন্ধু সেই মহাকাব্যের মহাকবি।’

শনিবার(১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন ‘বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে। তাঁর সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে গবেষণায় সকলকে উদ্বোদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর এ্যাওয়ার্ড চালুর ঘোষণা দেন তিনি । প্রতি বছর এ বিষয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চারটি এ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে বলে তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা ও চর্চা করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. তাজুল ইসলাম, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ), একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আপেল মাহমুদ, অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোরশেদ হোসেন, উপাচার্যের সহধর্মিনী মিসেস গুলনাহার নবী, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার ঘোষ, গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিয়ার রহমান, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক বেলাল উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক কুন্তলা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক।

এর আগে সকাল ৯টায় কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণসহ ক্যাম্পাসে শোক র্যালির উদ্বোধর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। র্যালি শেষে স্বাধীনতা স্মারক চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উপাচার্য ও বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন। পরে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে দু’আ ও মুনাজাত করা হয়। এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।



মন্তব্য চালু নেই