বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে বহিষ্কার করেনি কানাডা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছেন আনিসুল হক। সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গত সপ্তাহে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের ফেডারেল কোর্ট।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় অবস্থান করছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে দিতে সরকার বারবার অনুরোধ করলেও তা রাখেনি দেশটির সরকার। মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী কানাডা এই দণ্ডে দণ্ডিত কাউকে দেশে ফেরত পাঠায় না।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরে এ বিষয়ে অগ্রগতির খবর জানিয়েছে সরকার। নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে দুই দেশ একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সরকার সে দেশে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর মধ্যে আনন্দবাজার পত্রিকায় নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর বাংলাদেশের বেশ কিছু গণমাধ্যমও এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতে এ রকম খবর পাওয়ার পরে আমাকে নিউ ইয়র্ক থেকে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। আমাদের দুজনের আলোচনার প্রেক্ষিতে এই খবরটার সত্যতা জানতে কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং সেখানকার হাই কমিশনার জানান, এই সংবাদটি সর্বৈব অসত্য।’
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দায়ে নূর চৌধুরীসহ মোট ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। বাকিরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। এদের মধ্যে নূর চৌধুরীর কানাডার টরেন্টোতে অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য আছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক সাত জনের মধ্যে আবদুল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে মারা যান বলে তথ্য আছে সরকারের কাছে। তবে আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আবদুল মাজেদের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে পরোয়ানা রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই