“বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে নিতেই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি”
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত নিতেই এখানে এসেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বঙ্গবন্ধুর এই খুনিকে দেশে ফেরানোর জন্য এবার চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। খবর বাংলা প্রেস।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোন আইএস জঙ্গি নেই। তবে দু-একজন আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী বা অনুসারী থেকে থাকতে পারে। তবে এই সংগঠনের কোন সংক্রিয় তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তোমরা আমাদের কাছে আর কি চাও। আমি বলেছি, আমরা আর কিছুই চাই না। বাংলাদেশ এখন কারো কাছে হাত পাতে না। তারা জঙ্গি নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি- কারা জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোন সুনির্ধারিত তথ্য থাকলে তা দিয়ে যেন আমাদের সহায়তা করে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত কয়েকটি বিদেশি দূতাবাস কিছু হলেই ইয়োলো এলার্ট, রেড এলার্ট জারি করে। আমি ভোলার মন মোহন, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন স্থান সফরে গিয়ে দেখেছি ওইসব দেশের নাগরিকরা কাজ করছে। তাদের বলেছি, তোমাদের দেশের দূতাবাস তো রেড এ্যালার্ট জারি করেছে। চলো তোমাদের নিরাপদে পৌঁছে দেই। তারা হেসে বলেছেন, আমাদের কোন নিরাপত্তা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালো আছি।
তিনি বলেন, যে দেশে দাঁড়িয়ে কথা বলছি- এই যুক্তরাষ্ট্রেই হত্যা এবং সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। দেশ আজ শেখ হাসিনার এক যোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। এই উন্নয়নের পথ আর কোন অপশক্তি রোধ করতে পারবে না।
জামায়াত নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করা একটা আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়। এ বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলতে চাই না।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যকরি সভাপতি ও সংসদ সদস্য মাইনুদ্দীন খান বাদল, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
মন্তব্য চালু নেই