ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাম্প্রতিক বন্যায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাম্প্রতিক বন্যায় কাঁচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রৌহাদহ-বগুড়া ও কুতুবপুর-বগুড়া পাকা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ঐ এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পরেছে। গত ২৮ আগষ্ট সারিয়াকান্দি উপজেলার রৌহাদহ বাজারের নিকট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যমুনা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবেশ করায় রৌহাদহ হতে কড়িতলা বাজার পর্যন্ত ৮০ মিঃ পাকা রাস্তা ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও কুতুবপুর হতে কড়িতলা পাকা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক মেরামত করে যোগাযোগ চালু করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কড়িতলা হতে যমুনা নদীর ঘাট পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। প্রতিদিন ঐ রাস্তা দিয়ে পাশ্ববর্তী ধুনট উপজেলার জোরশিমুল, পাইকরতলী, ধনার পাড়া এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা, ঘুঘুমারী, রৌহাদহ,কামালপুর, দড়িপাড়া ও বিবিরপাড়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়াও রৌহাদহ যমুনা নদীর ঘাটে তারাকান্দি সার কারখানা হতে প্রতিদিন নৌকা যোগে ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকার সার ব্যবসায়ীরা ঐ যমুনা নদীর ঘাট ব্যবহার করে। চর এলাকা হতে কৃষকদের উৎপাদিক ফসল পাট, মরিচ, ধান ও গম সহ বিভিন্ন পণ্য ঐ ঘাট ব্যবহার করে আনায়ন করা হয়। রাস্তাটি বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোঃ শহিদুল হক জানান, বন্যার কারণে ২৫কিঃমিঃ জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ সড়ক, উপজেলা যোগাযোগ সড়ক ৪.৬কিঃমিঃ, ইউনিয়ন সড়ক ০.৮৫কিঃমিঃ ও গ্রামীণ পাকা সড়ক ২৫.৫ কিঃমিঃ, ইউনিয়ন কাঁচা রাস্তা ১০৬কিঃমিঃ, গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা এবং ৬টি কালভাটের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি ২৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, পাকা সড়ক বেশি ক্ষতি হওয়ায় মেরামত করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। বন্যার্ত পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাগুলি সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করা হবে। এলাকাবাসীরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ক্ষতিগ্রস্থ সকল পাকা ও কাঁচা রাস্তা দ্রুত মেরামত করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।
মন্তব্য চালু নেই