বিএনপি নেতাদের কুত্তার মতো পিটামু

বক্তব্যে অনড় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক

‘বিএনপি নেতাদের কুত্তার মতো পিটামু’ নিজের ফেসবুকে দেয়া এমন স্ট্যাটাসের বিষয়ে অনড় বলে জানালেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাংককে বসে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘তিনদিনের মধ্যে ছবি বিশ্বাসের উপর হামলার জবাব দিব। ডাক্তার বলছিলো আরও কয়টাদিন থাকতে আর থাকতে পারলামনা কুকুরদের ঘেউ ঘেউ এর কারনে। ন্যাড়ী কুত্তার মতো পিটামু বি এন পি র বড় নেতাদের।’
এ বিষয়ে নাজমুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হই, আমার ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে আপনারা আলোচনা করেন। কিন্তু যে ব্যক্তি না থাকলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না তার সম্পর্কে কটূক্তি করা হয়েছে। যিনি কটূক্তি করেছেন তিনি তৃণমূল পর্যায়ের কেউ নন, বিএনপির সিনিয়র নেতা।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার সুস্পষ্ট অবস্থান থেকে বলছি, যে দলের নেতারা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দিতে পারে না, তাদের কোনো রকম সম্মান পাওয়ার নৈতিক অধিকার নেই।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ।
এসময় তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি, খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় সংঘর্ষ ও গাজীপুরে সমাবেশ নিয়ে কথা বলেন।

‘বিএনপি নেতাদের কুত্তার মতো পিটামু’

নাজমুল আলম ‘বিএনপি নেতাদের কুত্তার মতো পিটামু’বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ‘নেড়ি কুত্তার’ মতো পেটানোর হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ হুমকি দেন।

নাজমুল তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘তিনদিনের মধ্যে ছবি বিশ্বাসের উপর হামলার জবাব দিব। ডাক্তার বলছিলো আরও কয়টাদিন থাকতে আর থাকতে পারলামনা কুকুরদের ঘেউ ঘেউ এর কারনে। ন্যাড়ী কুত্তার মতো পিটামু বি এন পি র বড় নেতাদের।’

উল্লেখ্য, দুপুর বকশিবাজারে অস্থায়ী আদালতে হাজিরা দিতে যান খালেদা জিয়া। এ উপলক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অতর্কিতে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর এমপি ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে তিনি আহত হন এবং তার গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনার পর বিকেলে নয়াপল্টনের দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্ব ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকেরা বিএনপির মিছিলে হামলা করে। তাদের খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার করার পরিকল্পনা ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই