ফ্যাশন ডিজাইনার এখন পুলিশ কমিশনার!

মঞ্জিতা ভানজারার স্কুলজীবন শেষে ভর্তি হন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। স্নাতক শেষ করে সবাই যখন চাকরির জন্য ছুটছে, তখন তিনি ভর্তি হন ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ। ডিগ্রি নিয়ে ডিজাইনার হিসেবে কাজও শুরু করেন।

ধনী পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও বিলাসিতায় গা ভাসাননি। ব্যক্তিগত গাড়িতে নয়, গণপরিবহনে যাতায়াত করতেন তিনি। প্রতিদিন বাস, ট্রেনে চড়তে গিয়ে উপলব্ধি করলেন, গণমানুষের নানা রকম সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে তাকে প্রশাসনে কাজ করতে হবে।

পরীক্ষা দিলেন সিভিল সার্ভিসে। টিকেও গেলেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার পদবিতে যোগ দিয়েই পেলেন বড় দায়িত্ব। চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত নারীদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সুরক্ষা সহায় প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন তিনি। যেখানে চোরাচালানকারীদের অপরাধের পথ থেকে ফিরিয়ে বৈধ রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

মঞ্জিতার ভাষায়, ‘এমন অনেক বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন যারা লক্ষ-কোটি রোজগার করেন। এত উচ্চাশা আমি রাখি না। শুধু অবহেলিত নারীদের মুখে হাসি দেখতে চাই, আর চাই প্রত্যেক শিশু যাতে শিক্ষা পায়।’

এসব কাজে যুক্ত হতে আরো বেশি নারীদের পুলিশ ফোর্সের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

মঞ্জিতা বিয়ে করেছেন গত বছরের ২২ এপ্রিল। তার স্বামী রাজেন্দ্র সাবাভাত জানালেন, ‘মঞ্জিতার জন্য আমি গর্ববোধ করি। মানুষের জন্য তার ভালোবাসা তার কাজ আমাকে মুগ্ধ করে। সাহসী নারীদের তাকে অনুসরণ করা ‌উচিত।’



মন্তব্য চালু নেই